• বৈঠকে অধ্যাপক চিকিৎসককে হুমকি চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি:  উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে এখনও থ্রেট কালচার বহাল থাকার অভিযোগ উঠল। আর জি কর কাণ্ডের পর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিতে থ্রেট কালচার বন্ধ করার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যাপারে রাজ্য সরকার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়েছে। তারপরেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে প্রভাবশালী চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মীর বিরুদ্ধে এক অধ্যাপক চিকিৎসককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। 


    অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডাঃ পার্থসারথি সরকার বলেন, মঙ্গলবার স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে মতো স্টেক হোল্ডার কমিটির বৈঠক ডেকেছিলেন প্রিন্সিপাল ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা। একজন বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু, সকলের সামনে হাসপাতালের প্রভাবশালী চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মী  বৈঠকে ঢুকে আমার উপস্থিতি নিয়ে হুমকির সুরে প্রশ্ন তোলেন। অথচ ওই বৈঠকে তাঁর থাকার কথা নয়। এ ধরনের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। প্রাণনাশের আশঙ্কাও করছি। 


    প্রিন্সিপালের সামনে এ ধরনের ঘটনার পরেও ওই কর্মীর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই প্রশ্নে বুধবার বিভিন্ন  বিভাগের চিকিৎসকরা প্রিন্সিপালের কাছে ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করার দাবি জানান। ডাঃ পার্থসারথি সরকার বলেন, ওই অভিযুক্তের সঙ্গে আরও দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ২০২২ সালে মেডিক্যাল পুলিস ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত পুলিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নিল না। 


    এদিন বিভিন্ন  বিভাগের প্রধান, চিকিৎসকরা বিষয়টিও প্রিন্সিপালের কাছে ফের তুলে ধরেন। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ আলোচনার পর প্রিন্সিপাল মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিস আধিকারিককে ডেকে ওই অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেন। তারপর জোরালো দাবি ওঠে মঙ্গলবার স্টেক হোল্ডার কমিটির বৈঠকে হুমকি দেওয়ার জন্য ওই চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করার।


    হাসপাতালের অ্যাডিশনাল সুপার ডাঃ নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মঙ্গলবার স্টেক হোল্ডার কমিটিতে হাসপাতালের এক কর্মী যেভাবে হুমকির সুরে একজন অধ্যাপক চিকিৎসকের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন সেটা অত্যন্ত নিন্দনীয়, আতঙ্কেরও। এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার। এদিন প্রিন্সিপালের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা গিয়েছিলাম। দীর্ঘ আলোচনার পর অভিযুক্তকে শোকজ করা হবে বলে জানান প্রিন্সিপাল। 


    যদিও ডাক্তারদের দাবি, শোকজ নয়, ওই কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিসে এফআইআর করার। এ ব্যাপারে প্রিন্সিপাল প্রথমে কিছু বলতে চাননি। পরবর্তীতে নানান প্রশ্নের চাপে পড়ে বলেন, হাসপাতালের তিনকর্মীর বিরুদ্ধে অতীতে করা অভিযোগ পুলিসকে খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার স্টেকহোল্ডার কমিটির বৈঠকে হুমকির অভিযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। মেডিক্যাল ফাঁড়ির এক অফিসার জানান, অতীতে কী অভিযোগ হয়েছিল তা খতিয়ে দেখা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)