চলতি মাসে ৪৪১ বিঘা জমির গাঁজা চাষ নষ্ট কোচবিহার পুলিসের
বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহার জেলার বিভিন্ন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় গাঁজা চাষের প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরেই রয়েছে। এই প্রবণতাকে ঠেকাতে ও গাঁজা চাষ রুখতে অভিযান শুরু করেছে জেলা পুলিস। চলতি মাসে ৪৪১ বিঘা জমির গাঁজা গাছ কেটে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার কোতোয়ালি সহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত পুলিস ৩৪৬ কেজির বেশি গাঁজা উদ্ধার করেছে। ছয়টি মামলাও দায়ের করেছে। শুধু গাঁজাই নয়, পুলিস বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে ৪৫৮.৬৫ গ্রাম ব্রাউন সুগার ও ০.৩৭৯ গ্রাম আফিম উদ্ধার করেছে। ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচ হাজার ৭২২ বোতল কাফ সিরাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
জেলার পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রচুর পরিমাণ গাঁজা চাষ নষ্ট করা হয়েছে। গাঁজা, ব্রাউন সুগার, আফিম, কাফ সিরাপ প্রভৃতিও উদ্ধার করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই ধরনের অভিযান পুলিস ধারাবাহিকভাবে চালাবে।
বুধবার বিকেলে জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার কৃষ্ণগোপাল মিনা বলেন, জেলায় চলতি মাসে ৪৪১ বিঘা জমির গাঁজা চাষ নষ্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই কোচবিহার কোতোয়ালি থানা এলাকায়। অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চলবে।
কোচবিহারের বেশকিছু জায়গায় মাদকের কারবার দীর্ঘদিন ধরেই রমরমিয়ে চলছে। পুলিস সেই সব জায়গায় মাঝে মাঝে অভিযান চালায়। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি। শহরের তোর্সার বাঁধ ঘেঁষা এলাকায় দিনেদুপুরে ব্রাউন সুগার সহ অন্যান্য নেশার সামগ্রী বিক্রি ও ব্যবহার হয়। এদিকে, কোচবিহার কোতোয়ালি থানার মাঘপালা এলাকার নাম গাঁজা চাষের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। পাশাপাশি পুণ্ডিবাড়ি থানার চর এলাকায় পপি চাষ হয়। পুলিস এর আগে এই চাষের বিরুদ্ধেও অভিযান চালায়। কিন্তু এর পরেও কোচবিহারে নেশার সামগ্রী বিক্রি ও তা ব্যবহারের দাপট কিন্তু কমেনি। - নিজস্ব চিত্র।