সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: সরকারি দুই দপ্তরের সমন্বয়ের অভাবে গাছ না কাটায় ঝড়বৃষ্টির জেরে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন দম্পতি। নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে হেলে থাকা বিপজ্জনক গাছটি পড়েই হয় এই বিপত্তি। খড়িবাড়ির বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে চিকিৎসা করাতে এসে স্বামীর গাড়ির উপর পড়ে গাছটি। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন তাঁরা।
মঙ্গলবার গভীর রাতে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে হেলে থাকা রাঁধাচূড়া গাছটি ভেঙে পড়ে। পরে খবর পেয়ে টুকরিয়াঝার রেঞ্জের বনকর্মী, নকশালবাড়ি থানার পুলিস ও দমকল কেন্দ্রের কর্মীরা এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে গাছটির ডালপালা কেটে সরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালের ওই বিপজ্জনক গাছটি নিয়ে টুকরিয়াঝার রেঞ্জে চিঠি দিয়েছিলেন নকাশালবাড়ির বিএমওএইচ। সেইমতো গত বৃহস্পতিবার টুকরিয়াঝার রেঞ্জের আধিকারিকরা গাছটি পরিদর্শন করে মৌখিকভাবে গাছ কাটার ছাড়পত্র দেন। তবে লিখিত না থাকায় গাছটি কাটানো হয়নি বলে জানান বিএমওএইচ ডাঃ কুন্তল ঘোষ। তিনি বলেন, এর আগে হাসপাতালের একটি গাছ কাটা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। বিপজ্জনক রাঁধাচূড়া গাছটি কাটার জন্য লিখিত অনুমতি চেয়েছিলাম। তা পাইনি। তাই আমরা আর কাটা হয়নি। তারই মধ্যে ঝড়বৃষ্টিতে এমনটা হল। তবে কেউ জখম হননি।
এদিকে, বনদপ্তরের দাবি গাছটি কাটার জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এনিয়ে টুকরিয়াঝারের রেঞ্জার সুরজ মুখিয়া বলেন, বিপজ্জনক গাছটি পরিদর্শন করেছিলাম আমরা। সেটি কাটার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেকে মৌখিক ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার লোক খুঁজছিলেন। যদিও রাত ১টা নাগাদ খবর পেয়ে বনকর্মীরা গাছটি কেটে দেন।