নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: যে জল্পনা এবং প্রচার নরেন্দ্র মোদি ব্যক্তিগতভাবে শুনতে পছন্দ করেন না, ঠিক সেই দুর্বল স্থানেই আঘাত করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিজেপি অথবা বিজেপি চালিত সরকারে যে যতই শক্তিশালী হোক, আদতে দল অথবা সরকারের রিমোট কন্ট্রোল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের হাতে। সুতরাং যতই বহিরঙ্গে ধারণা তৈরি হোক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সর্বশক্তিমান, প্রকৃতপক্ষে সুপার প্রাইম মিনিস্টার হলেন মোহন ভাগবত। অর্থাৎ আরএসএস। এরকমই একটি মনে করেন অনেকে। যা মোদির মতো আত্মবিশ্বাসে ভরপুর নেতার ভালো না লাগারই কথা। কেজরিওয়াল ইচ্ছাকৃতভাবে ঠিক সেখানেই বিদ্ধ করে সরসংঘচালক মোহন ভাগতকে চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি একঝাঁক প্রশ্ন এবং প্রসঙ্গ উত্থাপিত করে ভাগবতের কাছেই বিচার চেয়েছেন। কেজরিএয়াল বলেছেন, ‘মোদি বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের দুর্নীতিগ্রস্ত আখ্যা দেন। ইডি এবং সিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে ভয় দেখান। এভাবেই তিনি প্রকাশ্যে ২০২৩ সালের ২৮ জুন এক নেতা সম্পর্কে বলেছিলেন, ৭০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন ওই নেতা। তাঁকে মোদিজি জেলে পাঠাবেন প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ দেখা গেল সেই নেতাকেই সাদরে বরণ করে নিয়েছেন। এবং তাঁর সঙ্গে সরকার গড়ে ওই নেতাকেই উপমুখ্যমন্ত্রী করে দিয়েছেন। আপনি কিংবা অন্য কোনও আরএসএস নেতাকর্মী কি এই বিজেপির কল্পনা জীবনে করতে পেরেছেন?’ কেজরিওয়াল নাম না করে কার্যত মহারাষ্ট্রের অজিত পাওয়ারের প্রসঙ্গই উত্থাপন করলেন এভাবে। কেজরিওয়াল চিঠিতে বলেছেন, আপনার মনে কি একটুও কষ্ট হয়নি এটা দেখে? প্রশ্ন ভাগবতকে। যেনতেনপ্রকারে নীতিহীনভাবে সরকার দখল করা কি আরএসএস সমর্থন করে? চিঠিতে কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘জগৎপ্রকাশ নাড্ডা কিছুদিন আগে বলেছেন এখন বিজেপি পরিণত বয়স্ক হয়ে গিয়েছে। এখন আর সংঘের হাত ধরে চলার দরকার নেই। এটা শুনে কি আপনার ভালো লেগেছে? আরএসএসের গর্ভ থেকেই বিজেপির জন্ম। আর বিজেপি এখন সেই জন্মদাতাকে অস্বীকার করছে? সন্তান বিপথে চালিত হলে তাকে আবার সঠিক দিশায় ফিরিয়ে নিয়ে আনা আসাই অভিভাবকের দায়িত্ব। আপনিও আশা করব বিজেপিকে সঠিক পথে নিয়ে আসবেন।’