• পেরিয়েছে সময়সীমা, খরিফ মরশুমে রাজ্যের প্রাপ্য চাল মেটাবার নির্দেশ মানেনি কিছু মিল 
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকারের প্রাপ্য বকেয়া চাল ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাইস মিলগুলিকে মিটিয়ে দিতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল খাদ্যদপ্তর। ওই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনও ৫০ হাজার টনের মতো চাল বকেয়া আছে। বকেয়া চাল এমাসের মধ্যেই সরকারের কাছে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। সরকারি উদ্যোগে চলতি (২০২৩-২৪) খরিফ মরশুমে চাষিদের কাছ থেকে সাড়ে ৫১ লক্ষ টন ধান কেনা হয়েছে। তার থেকে সরকারের প্রায় ৩৪ লক্ষ টন চাল পাওয়ার কথা। খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৩৩ লক্ষ টনের বেশি চাল সরকারের কাছে ইতিমধ্যে চলে এসেছে। চলতি খরিফ মরশুম সেপ্টেম্বরেই শেষ হবে। আগামী খরিফ মরশুমে সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে নভেম্বর থেকে।


    সরকারি উদ্যোগে চাষির কাছ থেকে কেনা ধান নথিভুক্ত রাইস মিলগুলিকে দেওয়া হয় চাল উৎপাদনের জন্য। চাল তৈরি করে সরকারকেই সরবরাহ করে মিলগুলি। ওই চাল রেশনের পাশাপাশি স্কুলের মিড ডে মিল প্রকল্প এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার তৈরির জন্য সরবরাহ করা হয়। 


    সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান থেকে উৎপাদিত চালের একটা অংশ সেন্ট্রাল পুলে থাকে। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত রেশন গ্রাহক, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং মিড ডে মিলের চাল পাঠানো হয় সেন্ট্রাল পুল থেকে। সেন্ট্রাল পুলের চালের জন্য খরচ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে পায় রাজ্য। স্টেট পুলের চাল দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের নিজস্ব খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের রেশন গ্রাহকদের। 


    খাদ্যদপ্তরে ২৭ আগস্টের বৈঠকের রিপোর্টে জানানো হয় হয় যে, সেন্ট্রাল পুলের জন্য ২,৫০৪ টন ও স্টেট পুলের জন্য ৯৭,৪৭১ টন চাল বকেয়া আছে। ওই চাল ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যাতে পাওয়া যায় তার জন্য জেলার আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। 


    সরকারি ধান থেকে চাল 


    তৈরির জন্য রাইস মিলগুলিকে পরিমাণভিত্তিক ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি জমা রাখতে হয়। চাল না পেলে বাজেয়াপ্ত করা হয় ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির টাকা। কালো তালিকাভুক্তও করা হয় সংশ্লিষ্ট মিলগুলিকে। 
  • Link to this news (বর্তমান)