বিসর্জনের আগে গর্তে ভরা ঘাট সংস্কার করবে হাওড়া পুরসভা
বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সামনে উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো শেষ হলেই শুরু হয়ে যাবে ভাসান। হাওড়ার শহরাঞ্চলে গঙ্গার ঘাটগুলি বিভিন্ন জায়গায় ভেঙেচুরে গিয়েছে। ঢালাই ভেঙে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে একাধিক বড় বড় গর্ত। বিসর্জনের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তারজন্য আগেভাগেই ঘাট সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি শহরের মূল তিনটি ঘাটে অতিরিক্ত আলো ও শৌচালয়েরও ব্যবস্থা করতে চলেছে পুরসভা।
বুধবার শিবপুর ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট ও সালকিয়ার ছাতুবাবুর ঘাট পরিদর্শন করেন হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ও হাওড়া সিটি পুলিসের পদস্থ আধিকারিকরা। শহরের ছোট-বড় দুর্গাপ্রতিমার ৯০ শতাংশই এই তিনটি ঘাটে নিরঞ্জন হয়। তাই এই ঘাটগুলিতে আলোর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা। ঘাটের সামনের অংশে বেশ কিছু জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে। হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে বেশ কিছু গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই অংশটি আগে থেকেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। যাতে সেখানে গিয়ে কেউ প্রতিমা নিরঞ্জন করতে না পারেন। শিবপুর ঘাটের সামনের ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করে সেখানেও ব্যারিকেড করা হবে।’পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিমার রং ধুয়ে যাওয়া মাত্র নদী থেকে কাঠামো তুলে নেওয়া হবে। সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলিতে লং বুম মেশিন ব্যবহার করা হবে। এই কাজের জন্য ইতিমধ্যেই একটি বেসরকারি সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। গঙ্গায় দূষণ ঠেকাতে নেওয়া হবে আরও কয়েকটি পদক্ষেপ। প্রতিটি ঘাটেই বসানো হবে মোবাইল টয়লেট। বেশি সংখ্যায় সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর ভাসানের সময় শিবপুর ঘাটের কাছে নদীতে ভেসে গিয়েছিল প্রতিমা সমেত একটি লরি। সেযাত্রায় অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন প্রায় ১০ জন।