সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: প্রায় চারদিন পর উদ্ধার হল ট্রলার দুর্ঘটনায় মৃত মৎস্যজীবীর দেহ। মৃত মৎস্যজীবীর নাম পাদুড়ী দাস। বাড়ি কাকদ্বীপের কাক-কালীনগর মাইতির চক এলাকায়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ জম্বু দ্বীপের কাছে বকখালির বনদপ্তরের কর্মীরা এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ দেখতে পান। ফিরে এসে তৎক্ষণাৎ তাঁরা খবর দেন ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানায়। সঙ্গে সঙ্গে পুলিস ও বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু তাঁরা যাওয়ার পর সেখানে কোনও মৃতদেহ দেখতে পাননি। ওই সময় আবহাওয়া খুব খারাপ ছিল। প্রবল বৃষ্টির কারণে তল্লাশির কাজে ব্যাঘাত ঘটে। বুধবার ভোরে ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিস ও বনদপ্তরের কর্মীরা মৃতদেহটি উদ্ধার করেন। এদিন সকালে মৃতদেহটি ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যবন্দরে নিয়ে আসার পর নামখানার দ্বারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়। নিখোঁজ মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের পর দেহটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে টর্নেডোর কবলে পড়ে ডুবে যায় এফ বি গোবিন্দ নামের ট্রলারটি। ওই ট্রলারে মোট ১৭ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়। মঙ্গলবার আটজনের দেহ মিললেও নিখোঁজ ছিলেন পাদুড়ী দাস। এদিন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিষয়টি মৎস্য দপ্তরকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে সরকারি অনুদানের টাকা তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’ অন্যদিকে, এদিন বিকেলে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মৃত ন’জন মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা করে চেক তুলে দেন। এছাড়াও এক মাসের রেশন সামগ্রী তুলে দেন। পরিবারের শিশুদের পড়াশোনার বিষয়েও আশ্বাস দিয়েছেন।