• বিসিকেভিতে অচলাবস্থা অব্যাহত, হস্টেল খালির নির্দেশের পরও আছেন কিছু ছাত্র
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিসিকেভি) প্রথম বর্ষের ছাত্ররা কোন হস্টেলে থাকবেন? এ নিয়ে বিবাদ থেকে কয়েকসপ্তাহ যাবৎ যে অচলাবস্থা চলছে, তা বুধবারও কাটল না। অবশেষে বিসিকেভি কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের হস্টেল ফাঁকা করারই নির্দেশ দিলেন। তার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে অফলাইন ক্লাস বন্ধ করে তা অনলাইনে চালুর জন্য নোটিস দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশের পর বেশিরভাগ পড়ুয়াই হস্টেল ছেড়ে দিয়েছেন। তবে সেখানে কয়েকজন রয়ে গিয়েছেন এখনও। ফলে তাঁদের জন্য রান্না ও অন্যান্য কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন হস্টেল কর্মীরা। এক প্রাক্তন ছাত্রনেতার মদতে তৃণমূলপন্থী একদল ছাত্র কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে হস্টেলে রয়েছেন বলে অভিযোগ। 


    প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের জগদীশ ও রমন ছাত্রাবাসের আবাসিকদের মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। প্রথম বর্ষের ছাত্ররা এই দুই ছাত্রাবাসের মধ্যে কোনটিতে থাকবেন, তা নিয়ে দুই তরফে ফের বিবাদ বাধে। রমন ছাত্রাবাসে ঢুকে ভাঙচুর ও মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটে গিয়েছে। এরপরেই জগদীশ ছাত্রাবাসের পক্ষ থেকে আন্দোলনে নামে টিএমসিপি। কিছুদিন গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বন্ধ হয়ে যায় বিভিন্ন বিভাগের পরীক্ষা, পঠনপাঠন এবং গবেষণার কাজ। উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্তাদের টানা ৩৬ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয়। ফলে উপাচার্য অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাঁকে হাসপাতালে পর্যন্ত ভর্তি করতে হয়। 


    এর মধ্যেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ছাত্রাবাসগুলি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেখানে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, পুজোর ছুটির মধ্যে ছাত্রাবাসগুলিতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলবে। তাই এই নির্দেশ। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গৌতম সাহা বলেন, নোটিস দেওয়ার পর ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী হস্টেল ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিসকে জানানো হয়েছে। এরপর বন্ধ হস্টেলে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার জন্য দায়ী থাকবেন না।
  • Link to this news (বর্তমান)