নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ডামাডোল অব্যাহত কলকাতা মেট্রো রেলের অভ্যন্তরে। সংস্থার ইউনিয়গুলির অভিযোগ, এক শ্রেণির অদক্ষ অফিসারের হাতে পড়ে যাত্রী পরিষেবা লাটে উঠছে। মঙ্গলবারও কবি সুভাষ-দক্ষিণেশ্বর রুটে আচমকা থমকে যায় মেট্রোর চাকা। চূড়ান্ত দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের। এবার মেট্রো রেলওয়ে রিক্রিয়েশন ক্লাবের ভোট ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াল সংস্থার সদর কার্যালয়ে। আগামী কাল শুক্রবার এক দশক পর মেট্রোর রিক্রিয়েশন ক্লাবের ভোট হওয়ার কথা ছিল। যার নির্ঘণ্ট প্রকাশিত হয়েছিল বহুদিন আগে। কিন্তু ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে বুধবার হঠাৎ এই ভোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে সরব হয়েছে একাধিক কর্মচারী সংগঠন। যার প্রেক্ষিতে মেট্রো ভবনে সংস্থার ডেপুটি চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারকে (যিনি পদাধীকার বলে এই ভোটের ইলেকশন অফিসার) সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে ইউনিয়নের কর্মীরা।
এ প্রসঙ্গে অপারেশন বিভাগের এক কর্তা বলেন, মেট্রো ভবনের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সাক্ষী থাকলাম। কায়েমি স্বার্থে কিছু অফিসার রিক্রিয়েশন ক্লাবের নির্বাচন দীর্ঘদিন আটকে রেখেছিল। এবার তা হওয়ার কথা থাকলেও কংগ্রেস ও বাম প্রভাবিত কর্মচারী ইউনিয়নকে বাড়তি সুবিধা করে দিতে একেবারে শেষ মুহূর্তে ভোট বাতিল করা হয়েছে। তিন মাস পর ২৭ ডিসেম্বর সেই ভোট করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রভাবিত কলকাতা মেট্রোর প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক শম্ভুনাথ দে’র অভিযোগ, এই ভোট বাতিল পুরোপুরি অবৈধ। মেট্রো কর্তাদের একাংশ রাজনীতিকরণের উদ্দেশ্যেই পিছন থেকে এই কলকাঠি নাড়ছেন। জগাই-মাধাই অর্থাৎ বাম-কংগ্রেসকে অক্সিজেন জোগাতে মেট্রো ভবনের একাংশের অশুভ আঁতাত এই চক্রান্ত করেছে বলেও অভিমত শম্ভুনাথবাবুর। জানা গিয়েছে, এই সিদ্ধান্তের পিছনে রেল বোর্ডের একটি চিঠিকে শিখণ্ডি করছে মেট্রো। যেখানে আগামী শনিবার একাধিক রেল জোন কর্মচারীদের কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির বোর্ড অব ডিরেক্টরস নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। যার সঙ্গে মেট্রো রেলের রিক্রিয়েশন ক্লাবের ভোট হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই।