নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া, সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: আমতা ২ নং ব্লক এবং উদয়নারায়ণপুরের বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। রাজ্য সড়ক থেকে জল নেমে যাওয়ায় বাস চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে। যদিও নীচু জায়গা জলমগ্ন থাকায়, সেখানে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ কমেনি। পাশাপাশি, নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে পুনরায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ফের বানভাসি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। জল কমলেও ত্রাণ সরবরাহের ব্যাপারে ঢিলেমি চায় না প্রশাসন। ত্রাণের কাজ চলছে জোর কদমে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও ব্লকের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা জানান দলের পক্ষ ১০ হাজার মানুষের হাতে চাল, ডাল, নুন, তেল, পিঁয়াজ সহ বিভিন্ন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, আমতা ২ নং ব্লকের বিভিন্ন জায়গা থেকে জল নামলেও বহু গ্রাম জলমগ্ন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেইসব এলাকায় ত্রাণ বিতরন করা হচ্ছে। দিন কয়েক আগে বন্যার জলে ভেসে মারা গিয়েছিলেন নকুবাড়ের বাসিন্দা সমর মাইতি। বুধবার আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল মৃত যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মায়ের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। বিধায়ক সুকান্ত পাল জানান, সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হল। সরকারি ক্ষতিপূরণও পাবে এই পরিবার।
এদিকে, বুধবার বলাগড়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁদরা, মিলনগর, চর খয়রামারি সহ ভাঙন ও বন্যা কবলিত বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। ডিভিসির জল ছাড়া প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, ‘সাধারণ মানুষের দুর্বিষহ অবস্থার কথা না জেনেই ডিভিসি ক্যুইন্টাল ক্যুইন্টাল জল ছাড়ছে। এতে মানুষের বাড়ি ঘর আর কিছু অবশিষ্ট নেই।’ তাঁর ক্যুইন্টাল শব্দ প্রয়োগ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। হুগলি জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ‘হুগলির সাংসদকে মিউজিয়ামে রাখা উচিত। জল ক্যুইন্টালে কবে থেকে মাপা হয় জানি না।’