কালনা সুপার স্পেশালিটি ও মহকুমা হাসপাতালে রাত্রিসাথী প্রকল্পে কাজ, ১৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন
বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালনা: আর জি কর কাণ্ডের জেরে কালনা সুপার স্পেশালিটি ও মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তায় রাত্রিসাথী প্রকল্পে একাধিক কাজ শুরু হতে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে নার্সদের কমন টয়লেট, রেস্ট রুম ডাক্তারদের অন কল রুম সংস্কার, পানীয় জলের ব্যবস্থা, নার্সিং হোস্টেল সংস্কার ও আলোর ব্যবস্থা সহ হাসপাতাল বাউন্ডারিতে কাঁটাতারের বেড়া। প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়েছে বলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। বসবে আরও সিসি ক্যামেরা।
প্রায় পঁচিশ বিঘা এলাকা জুড়ে রয়েছে কালনা সুপার স্পেশালিটি ও মহকুমা হাসপাতাল চত্বর। দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে বেডের সংখ্যা ৫৩৪টি। এছাড়াও রয়েছে এইচডিইউ, এসএনসিইউ, প্যাথলজি ল্যাব, ডায়ালেসিস সহ আরও চিকিৎসা পরিষেবার নানা ইউনিট ও আউটডোর পরিষেবা, ন্যায্যমুল্যে ওষুধের দোকান। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার রোগী আউটডোর পরিষেবা নেন। শুধু কালনা নয়। পাশ্ববর্তী হুগলি ও নদীয়া জেলার বহু মানুষ উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। সম্প্রতি আর জি কর কাণ্ডের জেরে দুই হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। দিন কয়েক আগে হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও সাংসদ শর্মিলা সরকার সহ সুপার। বৈঠকে নার্সরা তাঁদের হোস্টেলের নিরাপত্তা ও বেহাল দশার কথা তুলে ধরেন। ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্সদের রেস্ট রুম ও চেঞ্জিং রুম সহ নিরাপত্তার জন্য কয়েক জায়গায় গেটের দাবি জানান। মন্ত্রী ও সাংসদ দুইজনই বিষয়গুলি দ্রুত গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য সুপারকে নির্দেশ দেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানায়। রাত্রিসাথী প্রকল্পে হাসপাতালের বাউন্ডারিতে কাঁটাতারের বেড়া, নার্সিং হোস্টেল সংস্কার, নতুন করে গেট বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য রেস্টরুম সহ কিছু সমস্যার সমাধানে কয়েক লক্ষ টাকা মঞ্জুর হয়। দুটি হাসপাতাল মিলিয়ে ৮২টি সিসি ক্যামেরা থাকলেও নতুন ৩৪টি সিসি ক্যামেরা মহকুমা হাসপাতালের জন্য মঞ্জুর হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র