সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত ৪১ কিমি ৩১-ডি জাতীয় সড়ক দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে আলিপুরদুয়ার থেকে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িগামী সমস্ত যানবাহনকে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ি দিয়ে ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বেহাল রাস্তায় পণ্য আমদানিতেও সমস্যা হওয়ায় উৎসবের মুখে ক্ষোভে ফুঁসছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ, জেলার লাইফ লাইন ওই বেহাল রাস্তা সারাইয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ উঠেছে।
বেহাল জাতীয় সড়ক সংস্কারের দাবিতে বুধবার মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটি এলাকার সাংসদ মনোজ টিগ্গাকে স্মারকলিপি দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের সাংসদ অবশ্য রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গাদকরির সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেওয়া ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেননি। যদিও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা সংস্কারের কাজে খুব শীঘ্রই হাত দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে।
সলসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত এই ৩১ডি জাতীয় সড়কের উপর দিয়েই তৈরি হচ্ছে ফোর লেন। কাজের জন্য মাটি ও পাথর ফেলা হয়েছে। কিন্তু কাজ বন্ধ থাকায় বৃষ্টিতে মাটি-পাথর ধসে গিয়ে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা।
মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তপনকুমার বর্মন বলেন, আমাদের দাবি আগে বেহাল রাস্তা যান চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে। তারপর সময়মতো ফোর লেনের কাজ শুরু হলে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের রাস্তা মেরামতে কোনওরকম হেলদোলই দেখছি না। তাই সাংসদকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এরপরেও কাজ না হলে অবরোধ আন্দোলনে নামা হবে।
আলিপুরদুয়ার চেম্বার অব কমার্সের সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ দে বলেন, সংস্কার না হওয়ায় আমাদের কাছে জেলার লাইফ লাইন ওই রাস্তা ‘অভিশাপ’ হয়ে উঠেছে। পুজোয় পণ্য আনার কাজে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। বাড়তি ভাড়া ও সময়ের অপচয় করে কোচবিহার দিয়ে ঘুরপথে পণ্য আনতে হচ্ছে আমাদের।
সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, জেলার ওই বেহাল জাতীয় সড়ক যাতে দ্রুত সংস্কার হয় তার জন্য কেন্দ্রীয় সড়কমন্ত্রী নীতিন গাদকরির সঙ্গে কথা বলছি।
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফোর লেনের কাজের জন্য নতুন করে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাজের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডারও হয়েছে। রাস্তার কাজের জন্য নতুন এজেন্সিও চলে এসেছে। তাহলে তারপরেও কেন কাজ শুরু হচ্ছে না? এই প্রশ্ন করা হলে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর প্রদীপ দাশগুপ্ত বলেন, অভিযোগ ঠিক নয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বা পুজোর পরেই কাজ শুরু হবে। - নিজস্ব চিত্র