বাস ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও মিটল না সমস্যা, মুনাফা অটো, টোটোচালকদের
বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, পতিরাম: টোটোর দাপটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বালুরঘাটের পকেট রুটে মঙ্গলবার থেকে পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন বাস মালিকরা। এতে লাভ হচ্ছে অটো ও টোটো চালকদেরই।
বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে বাসের নির্ধারিত ভাড়াতেই বালুরঘাট থেকে হিলি, হিলি থেকে পতিরাম এবং পতিরাম থেকে বালুরঘাটে অটো ও টোটো চলছে। কেউ কেউ অবশ্য বেশি ভাড়াও নিচ্ছেন। বাস ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বালুরঘাট বাসস্ট্যান্ড ও হিলি মোড়ে দেখা গেল অটো এবং টোটোর লম্বা লাইন। অন্যদিকে, জাতীয় সড়কে টোটো চলাচল বন্ধ করতে মঙ্গলবার থেকে মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত পরিষেবা চালু করতে নারাজ বাস মালিকদের সংগঠন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিক অনুপম চক্রবর্তী বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা মাইকিং শুরু করেছি। বাস মালিকদের পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা থাকলেও করেননি। সরকারি গাইডলাইন না এলে এখনই কিছু করতে পারছি না। বাস মালিকদের যেসব দাবি রয়েছে, সব ধীরে ধীরে পূরণ করা হবে।
অন্যদিকে, নিজেদের দাবিতে অনড় বালুরঘাট মোটর্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক মানস চৌধুরী বলেন, মাইকিং করে কিছু হবে না। আজও জাতীয় সড়কে বহু টোটো চলাচল করেছে। যতক্ষণ না বাস্তবে অভিযান হচ্ছে, আমরা পরিষেবা চালু করব না।
দু’দিন বাস পরিষেবা বন্ধ থাকায় চরম সমস্যায় পড়েছেন হিলির কলেজ পড়ুয়ারা। ছাত্রী লাবণী স্বর্ণকার বলেন, আমাদের পরীক্ষা দিতে বালুরঘাটে যেতে হচ্ছে। ফলে বাস না থাকায় সমস্যায় পড়েছিলাম। বেশি টাকা দিয়ে টোটোয় চাপতে হয়েছে।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অমরনাথ ঘোষ বলেন, হিলির পড়ুয়াদের জন্য অটোর ব্যবস্থা করা হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে। আমাদের কর্মীরা পড়ুয়াদের সবরকম সাহায্য করছেন।
জেলাজুড়ে টোটোর সংখ্যা হু হু করে বেড়েছে। সেই টোটোগুলি বাসের রুটেই জাতীয় ও রাজ্য সড়কে অবাধে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যবসায় মার খাচ্ছেন বাস মালিকরা। প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে বাস ধর্মঘট ডেকেছেন তাঁরা। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন বৈঠক করলেও সমাধানসূত্র বের হয়নি। আরটিওকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাস মালিকরা। (বাস স্ট্যান্ডের সামনে অটো-টোটোর ভিড়। - নিজস্ব চিত্র।)