সংবাদদাতা, চাঁচল: ভবনজুড়ে ফাটল ধরায় সঙ্কটে মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের শীতলপুর মোবারকপুর হাইস্কুল। শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে সেই বিপজ্জনক ভবনের ১০টি ঘরে ক্লাস বন্ধ রেখেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে একমাস ধরে ১৭টি ঘরে ২ হাজার ৮০০ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হচ্ছে বলে দ্রুত নতুন ভবন তৈরির দাবি জোরালো হয়েছে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ২ হাজার ৮০৮ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। ৪৬ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা ও দু’জন অশিক্ষক কর্মী রয়েছেন স্কুলে। ৩১টি রুমের মধ্যে একটি লাইব্রেরি ও দুটি ল্যাবরেটরি রয়েছে। তার মধ্যে স্কুলের পূর্বদিকের ভবনটিতে ফাটল ধরেছে। সিঁড়ির অংশ ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেকটি ঘরের দেওয়াল, পিলার ও ছাদজুড়ে ফাটল ধরায় আতঙ্কিত স্কুল কর্তৃপক্ষ। যে কোনও সময় ভবনটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আপাতত বিপজ্জনক ঘরগুলিতে ক্লাস বন্ধ রাখা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সাইনুর হক বলেন, শিক্ষাদপ্তর ওই ঘরগুলিতে ক্লাস না করার নির্দেশ দিয়েছে। ফলে ১৭টি ঘরে প্রচুর ছাত্রছাত্রীকে বসিয়ে পড়াতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষিকাদেরও সমস্যা। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করার জন্য এলাকার বিধায়ক সহ বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছি। এক প্রবীণ বাসিন্দা অমলচন্দ্র মণ্ডল জানান, গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ১৯২৮ সালে স্কুলটি চালু হয়। এখানে চাঁচল বিধানসভার মকদমপুর, অলিহোন্ডা, বরুই ও মহানন্দপুর থেকে পড়ুয়ারা আসে। ভবনের বেহাল দশা দেখে অভিভাবক ও বাসিন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন।
স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি মোকাদ্দেম হোসেনের কথায়, পড়ুয়ারা টিফিনের সময় যাতে বিপজ্জনক ভবনটির দিকে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বলেছেন, নতুন করে নির্মাণের জন্য বিকাশ ভবনে আবেদন করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত কাজের অনুমোদন মিলবে। - নিজস্ব চিত্র