• রানাঘাটে দুর্গা প্রতিমা ১১২ ফুট! বিশ্বের বৃহত্তম পুজোর ফয়সালা আজ হাইকোর্টে
    বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা ও রানাঘাট: ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল নদীয়ার রানাঘাটের কামালপুর এলাকার অভিযান সঙ্ঘ। কিন্তু দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাদ সেধেছে জেলা প্রশাসন। মণ্ডপ তৈরি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিস। এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটি। বুধবার সেই আবেদনের শুনানি ছিল বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যর সিঙ্গল বেঞ্চে। ওই পুজোর অনুমতির ব্যাপারে নদীয়ার জেলাশাসককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আজ, বৃহস্পতিবার জেলাশাসকের সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করে বিষয়টির চূড়ান্ত ফয়সালা করবে হাইকোর্ট। কামালপুরের এই পুজোর উদ্যোক্তা সুজয় বিশ্বাস বলেন, ‘যতরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যায়, আমরা সবটাই করেছি। একটাই আর্জি, পুজোটা যেন হতে দেওয়া হয়।’


    এদিন মামলার শুনানিতে পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে এই ক্লাব দুর্গাপুজো করছে। কোনও বছর অনুমতি নিয়ে সমস্যা হয়নি। এবার ১১২ ফুটের প্রতিমা বানানো হয়েছে, যা নজির গড়তে পারে। ইতিমধ্যে ইউনেস্কো এবং গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদের তরফে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়েও উদ্যোক্তারা সম্মতি পেয়েছেন। জানুয়ারি মাসে প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল। উত্তর মেলেনি। ৩ সেপ্টেম্বর ফের জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়। কিন্তু তারা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। আবার আপত্তিও করেনি। এখন শেষলগ্নে পুলিস গিয়ে মণ্ডপ নির্মাণ বন্ধ করেছে।  


    এরপর এজলাসে উপস্থিত রাজ্যের আইনজীবীর কাছে বিচারপতি জানতে চান, জেলাশাসকের দপ্তর থেকে অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সিদ্ধান্ত কি জানানো হয়েছে? রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৪ ফুটের রাস্তার উপর ওই পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। ২০১৫ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে সবচেয়ে বড় দুর্গা তৈরি করা হয়েছিল। সেই প্রতিমা দেখতে এত ভিড় হয়েছিল যে পুজোর মাঝেই প্যান্ডেল বন্ধ করে দিতে হয়। হাইকোর্টও তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। রানাঘাটের এই পুজোতেও যদি পদপিষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে, তাহলে কিছু করার থাকবে না।’ সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘এত দিনেও কেন সিদ্ধান্ত জানায়নি প্রশাসন? অনুমতি দেওয়া হবে কি না, তা তারা আরও আগে জানাতে পারত।’ এরপরই জেলাশাসককে ২৪ ঘণ্টা সময় দেয় আদালত। তার উপর ভিত্তি করে আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট।
  • Link to this news (বর্তমান)