পুজোর আগে পুলিসের নজরদারিতে বাজেয়াপ্ত ৪৮ কেজি বেআইনি বাজি
বর্তমান | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গি থেকে সড়কপথে বড়বাজার। রাতে পুলিসের নজর এড়িয়ে এই পথেই নিষিদ্ধ বাজি আনা হচ্ছিল শহরে। মাঝপথে কলকাতা পুলিসের বিশেষ নাকা তল্লাশিতে ধরা পড়েছে নিষিদ্ধ বাজি বোঝাই ওই ছোট পণ্যবাহী গাড়ি। ওয়াটগঞ্জ থানার নাকা পয়েন্টে গাড়ি তল্লাশির সময় ৪৮.২ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। কলকাতা পুলিস জানিয়েছে, খিদিরপুর এলাকায় গার্ডেনরিচ রোড ও কবিতীর্থ সরণির ক্রসিংয়ে আটকানো হয় ওই গাড়ি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গাড়ির চালককে। ধৃতের নাম শেখ সামিরুল (২৯)। তার বাড়ি মহেশতলার দৌলতপুরে। অভিযুক্তকে বিস্ফোরক আইনে গ্রেপ্তার করেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস।
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, আর দু’সপ্তাহ বাদেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। ইতিমধ্যেই সেই আবহ ছড়িয়েছে খাস কলকাতায়। প্রতি বছরই এই সময় বাজির চাহিদা বাড়ে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নুঙ্গি থেকে সরকারি সিলমোহর ছাড়া বেশ কিছু বাজি শহরে নিয়ে আসার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। সেকারণে শহরে প্রান্তিক থানাগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয় লালবাজার। মঙ্গলবার রাতে মহেশতলা এলাকার বাজি বাজার থেকে একটি গাড়ি রওনা দেয় বড়বাজারের উদ্দেশ্যে। গোপন সূত্রে সেই খবর এসে পৌঁছয় ওয়াটগঞ্জ থানায়। সেই মোতাবেক শহরে বেআইনি বাজির প্রবেশ রুখতে বিশেষ টিম তৈরি করে ওয়াটগঞ্জ থানা। কবিতীর্থ সরণি ও গার্ডেনরিচ রোড ক্রসিংয়ে সেই টিম মোতায়েন করা হয়। রাত সওয়া ৮টা নাগাদ একটি নীল ত্রিপল চাপা দেওয়া পণ্যবাহী গাড়িকে আটকায় পুলিস। চালককে গাড়ির ঢাকা সরাতে বললে সে পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখনই পুলিসকর্মীরা তাকে পাকড়াও করেন। এরপর অফিসাররা দেখেন, ওই গাড়িতে বাজি ভর্তি। দোদমা, শেল, চকোলেট বোম সহ একাধিক নিষিদ্ধ বাজি রয়েছে তাতে। সেগুলির গায়ে সরকারি শিলমোহর ছিল না। এত বাজি কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন করলে সদুত্তর দিতে পারেননি চালক। পুলিস জানতে পারে, বড়বাজারে এগুলি বিক্রির পরিকল্পনা ছিল। কলকাতা পুলিসের ডিসি (বন্দর) হরিকৃষ্ণ পাই জানিয়েছেন, এই বাজি কোথা থেকে আনা হয়েছিল, কারা প্রস্তুতকারক, এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র