ভূমি রাজস্ব আদায়ের পদ্ধতিকে আরও সহজ করতে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। রাজ্যের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর অনলাইনে খাজনা আদায়ের ব্যবস্থা চালু করেছিল ২০২২ থেকে। ‘বাংলার ভূমি’ পোর্টালের মাধ্যমে এই খাজনা দেওয়া যায়। কিন্তু পদ্ধতিগত কিছু জটিলতা থাকায় গ্রামের প্রান্তিক মানুষকে নানা সমস্যায় ভুগতে হতো। সেই সমস্যার সমাধানে বুধবার থেকে পোর্টালে ঢুকে খাজনা দেওয়ার জন্য ই-মেল আইডি বাধ্যতামূলক থাকছে না।ফোনে আসা ওটিপির মাধ্যমে লগ-ইন করা যাবে পোর্টালে। অবাস্তু, অকৃষি ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত জমির জন্য এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে। ল্যান্ড রেকর্ডস অ্যান্ড সার্ভের ডিরেক্টর বিভু গোয়েল বলেন, ‘খাজনা দেওয়ার পদ্ধতি আরও সরল করাই আমাদের উদ্দেশ্যে। আশা করছি, এই সিদ্ধান্তের ফলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।’
এতদিন অনলাইনে খাজনা দেওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে মোবাইল ফোন এবং ই-মেল আইডি থাকা (ওটিপির জন্য) জরুরি ছিল। দু’টি ওটিপিরই প্রয়োজন হতো। এই ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে ভূমি দপ্তর ই-মেল ওটিপি ব্যবস্থা তুলে দিল। বিভিন্ন জেলায় ভূমি দপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, গ্রামের প্রান্তিক মানুষের প্রত্যেকের কাছে ই-মেল আইডি অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না।
সেটা তৈরি করতেও অনেক ঝক্কি পোহাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে দপ্তরের একাধিক অভিযোগ জমা পড়ছিল। অবশেষে এই বিষয়টি আর বাধ্যতামূলক রইল না। মানুষকে এখন খাজনা দিতে ভূমি দপ্তরে যেতে হয় না। ঘরে বসেই কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খাজনা দেওয়া যায়। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমেও খাজনা দেওয়া যায়।