রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠকে একাধিক প্রতিশ্রুতি পেয়ে আংশিক কর্মবিরতি তুলে নিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে, মুখ্যসচিব বৈঠকে যে প্রতিশ্রুতিগুলি দিয়েছিলেন, সেগুলি পালন করা হচ্ছে না বলে দাবি করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মোট সাত দফা দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার ফের মুখ্যসচিবকে ই-মেল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ সম্পর্কিত বিষয়ে একগুচ্ছ দাবি রাখা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। বুধবারই বিষয়টি নিয়ে জিবি বৈঠক করেন তাঁরা। এরপরেই জুনিয়র ডাক্তাররা ই-মেল করে যে বিষয়গুলি জানিয়েছেন, সেগুলি হল – সরকারি হাসপাতালে ‘থ্রেট কালচার’ -এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় স্তরে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়নি। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারির স্নাতক পড়ুয়া এবং আবাসিক ডাক্তারদের নিয়ে অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পদক্ষেপ করা হয়নি। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ছাত্র প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের আয়োজন করার কথা জানানো হয়েছিল। সেই বিষয়ে এখনও কোনও সদর্থক বার্তা মেলেনি। নির্বাচনের জন্য কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকার জন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিকে নির্দেশ দিতে হবে বলে জানান তাঁরা।
ডাক্তারদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের যে সকল সদস্যের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’কে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্যেকে অনুসন্ধান কমিটি গঠন করতে হবে। সেই কমিটি গঠনের কাজ আগামী সাতদিনের মধ্যে শুরু করতে হবে।
এছাড়াও হাসপাতালগুলির সুরক্ষা বৃদ্ধিতে প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তার, সিনিয়র ডাক্তার, নার্সিং এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতিনিধিদের নিয়ে টাস্ক ফোর্স কিংবা নজরদার কমিটি গঠন করতে হবে। পাশাপাশি, কলেজ কাউন্সিল, অভ্যন্তরীণ কমিটি, রোগী কল্যাণ সমিতি, র্যাগিং প্রতিরোধ কমিটিকে আগামীও সাতদিনের মধ্যে সক্রিয় করতে হবে। এছাড়াও, ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুল’ অনুযায়ী চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য স্বচ্ছ এবং যথাযথ বদলি নীতি কার্যকর করতে হবে। বৃহস্পতিবার সকালেই এই সংক্রান্ত একটি ই-মেল করা হয় ডাক্তারদের তরফে। যদিও, মুখ্যসচিবের তরফে (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) এখনও কোনও জবাব আসেনি বলে জানিয়েছেন তাঁরা।