পটকা ফাটার শব্দ পেয়ে মৃত মহিলার শ্বশুর পরিমল বারুই তাঁদের ঘরে ঢোকেন। ঘরে পা রেখেই দেখেন গলা দিয়ে রক্ত পড়ছে বৌমার। তড়িঘড়ি কানাইপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি বধুকে। উত্তরপাড়া থানার পুলিস মৃতার স্বামী প্রসেনজিৎকে আটক করে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল। গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করেন যুবক। বছর সাতেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেন মৈত্রীকে। তাদের পাঁচ বছরের ছেলে আছে। সেই ছেলের সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বধুর।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে,অভিযুক্ত প্রথমে দাবি করেছিল আগ্নেয়াস্ত্র কালকেই কুড়িয়ে পেয়েছে। আবার পরে দাবি করে মাস দুয়েক আগে ন' পাড়ায় একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে অস্ত্র পায়। লোকাল মেড ২ এমএম পিস্তলটি বাড়িতেই ছিল। গতকাল সেটি বের করে নাড়াচাড়া করার সময় গুলি ছুটে যায়।
যদিও পুলিস তার দাবির সত্যতা খতিয়ে দেখছে। পিস্তল কোথা থেকে পেল, সেটা জানার পাশাপাশি স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক কেমন ছিল, বিবাহবহির্ভূত কোনও সম্পর্কের জেরে এই ঘটনা কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত ও তাঁর স্ত্রীর মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।এই মামলায় সেই মোবাইল থেকে সূত্র মিলতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। মৃতার শ্বশুর পরিমল বারুই এর দাবি তার ছেলে বৌমার সুখের সংসার ছিল। সেই দাবির সত্যতার খোঁজে এখন পুলিস।