• এও এক আরজি কর-কাণ্ড? ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রীর 'রহস্যমৃত্যু'তে ধোঁয়াশা...
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • পার্থ চৌধুরী: আবার এক আরজি কর-কাণ্ডের হদিশ। যদিও এই ঘটনা এক বছর আগের। এখন আরজি কর-কাণ্ডের আবহে নতুন করে মেয়ের মৃত্যুরহস্যের বিচার চান অসহায় বাবা-মা। বর্ধমান শহরের ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দা প্রণব কুমার কুণ্ডু। পেশায় ব্যবসায়ী। তাঁর ছোটো মেয়ে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিল কোচবিহার মহারাজা জিতেন্দ্রনারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের সেই মেয়ের আত্মহত্যার খবর পান ২০২৩ সালের জুন মাসের ১২ তারিখ। খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটে যান কোচবিহারে।সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, মেয়ে নাকি হস্টেলের নিজের ঘরেই আত্মঘাতী হয়েছে! মেয়ে চলে গেলেও আজও প্রশ্ন তাড়া করে বেড়ায় হতভাগ্য বাবা-মাকে। যার উত্তর আজকেও পায়নি কুণ্ডু পরিবার। 

    এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সব প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসুক, চান বাবা-মা। বাবার দাবি, এই মৃত্যু কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। তার কথায়, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না! পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, কিছু-ই হবে না। কারণ, তাঁদের টাকাপয়সা নেই মামলা করার। অর্থ থাকলে কলকাতা হাইকোর্টে মেয়ের রহস্যমৃত্যু নিয়ে মামলা করতেন বলেও জানান কন্যাহারা বাবা। পাশাপাশি  পুলিসের ভূমিকা নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন তিনি। মৃতার বাবা জানান, ময়নাতদন্তের পর দেহ দাহ করতে গিয়েও সিনিয়রদের ঘেরাটোপে ছিলেন তিনি। সিনিয়র ছাত্ররা তাদের রীতিমতো ঘিরে রেখেছিল। সাংবাদিকদের থেকেও পরিবারকে দূরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ওই কলেজের সিনিয়র ছাত্ররা।

    মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তারি পড়ুয়া ৩টি মেয়ে ও ১টি ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাবা। তাঁর অভিযোগ, কলেজের হস্টেলে ইন্ট্রো দেওয়ার নাম চলত ঘণ্টার পর ঘণ্টা অত্যাচার। তাঁদের আরও অভিযোগ, কলেজে প্রকাশ্যে চলত টুকলি। পরীক্ষা দিতে গিয়ে টুকলি দেখে ডিপ্রেশনেও চলে যায় মেয়ে। বাবাকে সেকথা জানিয়েওছিল সে। এখন আরজি কর-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর মেয়ের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ছাত্রীর বাবা-মা। যদিও মৃতার বাবার আক্ষেপ, "বিচার তিনি পাবেন না! তাই ঈশ্বরের কাছে বিচার চাইছেন! মেয়ের মৃত্যুর পিছনে আসল দোষীদের শাস্তির।" 

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)