এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সব প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। মেয়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসুক, চান বাবা-মা। বাবার দাবি, এই মৃত্যু কিছুতেই স্বাভাবিক হতে পারে না। তার কথায়, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না! পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, কিছু-ই হবে না। কারণ, তাঁদের টাকাপয়সা নেই মামলা করার। অর্থ থাকলে কলকাতা হাইকোর্টে মেয়ের রহস্যমৃত্যু নিয়ে মামলা করতেন বলেও জানান কন্যাহারা বাবা। পাশাপাশি পুলিসের ভূমিকা নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন তিনি। মৃতার বাবা জানান, ময়নাতদন্তের পর দেহ দাহ করতে গিয়েও সিনিয়রদের ঘেরাটোপে ছিলেন তিনি। সিনিয়র ছাত্ররা তাদের রীতিমতো ঘিরে রেখেছিল। সাংবাদিকদের থেকেও পরিবারকে দূরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে ওই কলেজের সিনিয়র ছাত্ররা।
মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তারি পড়ুয়া ৩টি মেয়ে ও ১টি ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বাবা। তাঁর অভিযোগ, কলেজের হস্টেলে ইন্ট্রো দেওয়ার নাম চলত ঘণ্টার পর ঘণ্টা অত্যাচার। তাঁদের আরও অভিযোগ, কলেজে প্রকাশ্যে চলত টুকলি। পরীক্ষা দিতে গিয়ে টুকলি দেখে ডিপ্রেশনেও চলে যায় মেয়ে। বাবাকে সেকথা জানিয়েওছিল সে। এখন আরজি কর-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর মেয়ের মৃত্যু নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন মৃত ছাত্রীর বাবা-মা। যদিও মৃতার বাবার আক্ষেপ, "বিচার তিনি পাবেন না! তাই ঈশ্বরের কাছে বিচার চাইছেন! মেয়ের মৃত্যুর পিছনে আসল দোষীদের শাস্তির।"