গতকাল স্থানীয় মৎস্যজীবীরা দেখতে পান জম্বু দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এক মৎস্যজীবীর দেহ ভাসছে। এর পর তারা প্রশাসনকে খবর দিলে প্রশাসন গিয়ে ওই দেহ উদ্ধার করে প্রথমে দারিকনগর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মৃতদেহ কাকদ্বীপ পুলিস মর্গে নিয়ে আসা হয়। আজ সকালে তার দেহ দেখার পরেই তার পরিবারের লোকজনকে ডাকা হলে পরিবারের লোকজন দেহ সনাক্ত করে। মৃত মৎস্যজীবীর ছেলে দেহ সনাক্ত করে । ময়নাতদন্ত করার পর পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেয়া হবে বলে জানা যায়।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃত মৎস্যজীবী পরিবারদের হাতে ২ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করা হয় মৎস্যজীবী পরিবারদের। বুধবার রাতে রাজ্যের প্রতিবন্ধী সংগঠনের পক্ষ থেকে কান্তি গাঙ্গুলী নিজে ওই মৎস্যজীবী পরিবারদের হাতে প্রতিবন্ধী সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা ও এক মাসের খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন।
সামুদ্রিক ঝড়ের মুখে পড়ে পাতুরিদের ট্রলার। মোট ১৭ জন মত্সজীবী ছিলেন ওই ট্রলারে। এদের মধ্যে ৮ জনকে জীবিত ও ৮ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রশাসন। পরিবারের আশা ছিল মৃত ৮ জনের মধ্যে হয়তো পাওয়া যাবে বৃদ্ধ পাতুড়িকে। গত রবিবার থেকে কাকদ্বীপ পুলিস মর্গের সামনে বসেছিলেন পাতুড়ির ছেলেমেয়েরা।
সংসারে ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফোটাতে ৬৬ বছর বয়সেও গভীর সমুদ্রে গিয়েছিল মাছ ধরতে গিয়েছিলেন পাদুরি। বহুদিন ধরেই ওই কাজ করে আসছেন। কিন্তু এমন ভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হবে এ কথা কোনদিনই ভাবতে পারেনি পরিবার। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে অভাবের সংসার পাদুরির।