• দাবা-হাডুডু সব খেলাই জানি, পাঙ্গা নিতে এসো না, অনুব্রত ফিরতেই কাকে হুঁশিয়ারি কাজলের!
    ২৪ ঘন্টা | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • প্রসেনজিত্ মালাকার: অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কাজল সেখের যে একটা দূরত্ব রয়েছে তা বীরভূমের রাজনীতিতে একটি জানা বিষয়। এবার অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরে ফিরতেই বিস্ফোরক মন্তব্য কাজলের। কার দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে একটি একটি বিষয় উঠে এলে যে কাজল সেখের গোষ্ঠীর সঙ্গে অনুব্রত গোষ্ঠীর সংঘাত ফের সামনে এসে গেল।

    কাজল সেখ বলেন, আমি পঞ্চায়েত থেকে পার্সেন্টেজ নিতে আসেনি, নদীর বালি থেকেও পয়সা নিতে আসেনি। সব খেলাই খেলতে জানি। দাবা খেলতে জানি, হাডুডু ও খেলতে জানি। পাঙ্গা নিতে এস না, চুড়ি পরে বসে নাই, যেদিন গোটাব, সেদিন গুটিয়ে দেব। দুবছর পর অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে আসতেই নাম না করে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি কাজল শেখের।

    প্রায় দুবছর পর বীরভূমে ফিরেছেন কেষ্ট। অনুব্রতহীন বীরভূমে দলে ব্রাত্য কেষ্ট ঘনিষ্ঠ নানুরের তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান। অনুব্রত জেলে থাকতে প্রতিনিয়ত তার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন কেরিম খান। আশায় ছিলেন অনুব্রত বীরভূমে ফিরলে আবার দলে জায়গা পাবেন।  সেই মতো অনুব্রত বীরভূমে ফেরার রাতে নানুরের বাসাপাড়ায় কাজলের দায়িত্ব থাকা দলীয় কার্যালয়ে নিজেদের গোষ্ঠীর কর্মীকে নিয়ে ঢোকেন আব্দুল কেরিম খান। এরপরই কাজলের খেলা শুরু।

    বুধবার রাত্রে নানুর ব্লকের বাসাপাড়া তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ে দলীয় মিটিংয়ে কাজল বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বাংলায় একটাই দল তৃণমূল কংগ্রেস। কোন গ্রুপ বাজি বরদাস্ত করব না। দড়ি ছেড়ে রেখেছি, যেদিন গোটাব সেদিন গুটিয়ে দেব। অনেক ঘাটের জল আমার পেটে আছে। আমি সব খেলায় খেলতে জানি। আমি দাবা খেলা খেলতে জানি। হাডুডু খেলাও খেলতে জানি। খেলা হবে গান শুনিয়ে লাভ হবে না বন্ধু!  আমি আগেই বুঝতে পেরেছিলাম, তাই দাবার চাল চেলে বসে আছি। আমি পঞ্চায়েত থেকে পার্সেন্টেজ নিতে আসিনি, আমি নদীর বালি থেকে পয়সা নিতে আসিনি। পাঙ্গা নিতে এসো না, আমি চুড়ি পড়ে বসে নাই।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)