এদিন সওয়াল জবাবের সময় বিচারক বলেন, "আপনি বলেছিলেন যাতে কম সাজা হয় সেটা দেখতে। অন্যদিকে সরকার পক্ষ বলেছে, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সরকার পক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে। ৪৫ জন যারা সাক্ষী দিয়েছে, তারা কঠোর সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়েছেন। কলকাতা পুলিস অত্যন্ত ভালো তদন্ত করেছে। ৭ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে আপনি জোর করে ঘরে ঢোকান। আপনার যৌন লালসা পূরণের জন্য। তারপর নৃশংস অপরাধ করেন। যখন মেয়েটি মারা যাচ্ছিল না, তখন আপনি একাধিক উপায় নেন। হাতুরি দিয়ে দিয়ে মারেন, মাথা ঠুকে দেন। আপনার ঘরে থাকা একাধিক ইনসট্রুমেন্ট ব্যবহার করেন। আপনি একজন ডেলিভারি বয়। আপনার শক্তি অনেক। একটা অসহায় বাচ্চা যার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা নেই, তার উপর আপনি নিষ্ঠুর অত্যাচার করেছেন।"
বিচারক আরও বলেন, "এটি অমানবিক ও নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। এধরণের অপরাধ খুব একটা দেখা যায় না। এই অপরাধ বিরল নয়। বিরলতম। প্রথম থেকে আপনার উদ্দেশ্য ছিল এমন অপরাধ করা ও পালিয়ে যাওয়া। আপনাকে সংশোধন করা যাবে না। একজন অসহায় শিশু যে ঘরে ছুটে বেড়াচ্ছিল, তার সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বিরলতম। অপহরণ, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট, ধর্ষণ সমস্ত ধারাতে অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত। খুনের যে ধারা তাতে দোষীকে ফাঁসির সাজা দেওয়া হলো।" ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন আলিপুরের বিশেষ পকসো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। স্মরণাতীতকালে হেতাল পারেখের ঘটনাকে 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' আখ্যা দিয়েছিল আদালত। কামদুনি ধর্ষণ-খুনের কাণ্ডেও নিম্ন আদালত এই একই কারণ দেখিয়ে ফাঁসির সাজা দিলেও, পরে উচ্চ আদালত তা খারিজ করে যাবজ্জীবন দেয়।