অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের হলফনামা তলব করলেন প্রধান বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২১ শে নভেম্বর। প্রধান বিচারপতি বলেন, উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজের এক প্রিন্সিপালের রিপোর্টেও এই " থ্রেট কালচারের" উল্লেখ রয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।
একজন মহিলা চিকিৎসক দাবি করেন যে তাকে তারা বাবা নিরাপত্তার জন্য ছুরি দিয়েছে। আরেক মহিলা চিকিৎসক বলছেন যে তিনি পিপার স্প্রে সঙ্গে নিয়ে কর্মক্ষেত্রে যান। এই কাণ্ড শুনে বিস্মিত প্রধান বিচারপতি। হাসপাতালের ৬০ শতাংশ মহিলা চিকিৎসক বিভিন্নভাবে দুর্ব্যবহারের শিকার হন বলে অভিযোগ, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির।
থ্রেট-কালচার নিয়ে উত্তাল সারা রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ। আরজি কর কাণ্ডের পর একের পর এক থ্রেট কালচারের ঘটনা উঠে এসেছে। সম্প্রতি সেই অভিযোগে বহিষ্কার করা হল ৪০ জন ডাক্তারি পড়ুয়াকে ৷ গত বৃহস্পতিবার নদিয়ার রাজ্য সরকার পরিচালিত কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালের পড়ুয়াদের বহিষ্কার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ ওই পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে অন্য পড়ুয়াদের হুমকি দেওয়া, ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ৷ কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
আরজি করের ঘটনায় মোট ৫১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। হাসপাতালে থ্রেট কালচার রুখতে আরজি করে তৈরি করা হয়েছিল অভ্যন্তরীণ কমিটি। বুধবার সেই কমিটির সামনেই ডাকা হয়েছে ১২ অভিযুক্তকে। অভিযুক্তদের দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ। যাঁদের বিরুদ্ধে আরজি করে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, ওই চিকিৎসকদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ।