সৌমেন রায়চৌধুরী | এই সময় অনলাইনবাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রথম দফায় ট্রাকে করে প্রায় ১৭২টি পেটি পদ্মার ইলিশ ঢুকল রাজ্যে। আজকে আরও বেশ কয়েকটি ট্রাকে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ টন ইলিশ আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ বিভিন্ন মাছ বাজারে পদ্মার রুপোলি শস্য পাবেন ভোজন রসিকরা।
দীর্ঘ টালবাহানার পর পুজোর আগেই রাজ্যে এল বাংলাদেশের ইলিশ। গত ২১ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। তাতে জানানো হয়, আসন্ন দুর্গাপুজো উপলক্ষে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করা হলো।
ফিস ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন কলকাতার সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, এবার বাংলাদেশ থেকে ইলিশ মাছ পাওয়া নিয়ে একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। । তবে টালবাহানা কাটিয়ে অবশেষে এল বাংলাদেশের রুপোলি শস্য। এটাই খুশির খবর। মাছ ব্যবসায়ীরা পুজোর আগে কিছুটা লাভের মুখ দেখবেন বলেও আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই কলকাতা, হাওড়া-সহ রাজ্যের চারটি বাজারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের রুপোলি শস্য। হাওড়ার মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ১২০০-১৪০০ টাকা কেজি হতে পারে পদ্মার ইলিশের দাম। যেহেতু এ বার কম মাছ ঢুকছে, সেহেতু দাম একটু বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হাওড়া, পাতিপুকুর, শিয়ালদহ ও শিলিগুড়ির বাজারে দাম কিছুটা ওঠানামা করতে পারে। তবে, সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে কতটা পদ্মার ইলিশ থাকবে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। পেট্রাপোল সীমান্তে ইমপোর্টার্স সুদীপ মজুমদার জানান, আমরা অপেক্ষায় থাকি পুজোর আগে বাংলাদেশের ইলিশ ভোজনরসিকদের পাতে দেওয়ার। কাল থেকেই রাজ্যের নানা প্রান্তের বাজারে মিলবে এই রুপোলি শস্য। আপাতত যে ইলিশগুলি এসেছে তার ওজন এক কেজির ঊর্ধ্বে বলেও জানান তিনি। ইলিশ বোঝাই ট্রাক নিয়ে ভারত সীমান্তে আসা বাংলাদেশের চালক জসিম জানান, এই মাছ পাঠানোর মধ্যে দিয়ে দু'দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে আশা করি। ঢাকা থেকে এই ইলিশ আমরা নিয়ে এসেছি।