৪৪২ কর্মীর ৬০ বছর পর্যন্ত চাকরি নিশ্চিত করল রাজ্য সরকার
এই সময় | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়: নির্দিষ্ট বেতন হারের আওতায় তাঁদের আনতে হবে— এই আবেদন দীর্ঘদিনের। সেই দাবিতে কেটে গিয়েছে প্রায় এক দশক। অবশেষে দাবি পূরণ হলো দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিযুক্ত ওই কর্মীদের। চুক্তির ভিত্তিতে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে একলপ্তে ৪৪২ জন কর্মীকে। বুধবার সেই নির্দেশে অর্থ দপ্তরের সিলমোহরও পড়েছে। ওই কর্মীরা জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরে কর্মরত ছিলেন।রাজ্য সরকারের দু’টি সংস্থায় মিলিয়ে তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। স্থায়ী কর্মীদের মতোই এ বার তাঁরা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। তাঁরা পাবেন স্থায়ী কর্মীদের মতো অন্যান্য সুযোগ-সুবিধেও। তাঁদের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে অর্থ দপ্তর থেকে।
সেচ এবং জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরেই চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে নিযুক্ত কর্মীদের স্থায়ী করার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম তৈরি করা হয়েছিল। সেই নিয়ম মেনেই ওই কর্মীদের চাকরি নিশ্চিত করা হয়েছে। জলসম্পদ অনুসন্ধান দপ্তর ওই কর্মীদের স্থায়ী ভাবে নিয়োগের প্রস্তাব অর্থ দপ্তরে পাঠিয়েছিল।
অর্থ দপ্তরের অনুমোদনে ওই কর্মীদের ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট মাইনর ইরিগেশন কর্পোরেশন’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ় কর্পোরেশন’-এ নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, ‘অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ীকরণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছিলাম। সেই দাবি মানার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কর্মচারী ফেডারেশনের চেয়ারম্যান মানস ভুঁইয়াকে ধন্যবাদ।’
সব ধরনের অস্থায়ী কর্মীদের স্থায়ী নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালে নতুন গাইডলাইন তৈরি করেছিল রাজ্য। এ বিষয়ে বিভিন্ন দপ্তরে বিভ্রান্তি ছিল। ওই গাইডলাইনে অর্থ দপ্তর জানায়, যে কর্মীদের কোনও কারণে এক সময়ে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের চাকরি থাকবে এমন পরিস্থিতি থাকলে তাঁদের এইচআরএমএস ব্যবস্থার (স্থায়ী কর্মীদের বেতন এই ব্যবস্থায় হয়) মাধ্যমে বেতন দেওয়া যাবে।
এর মধ্যে দৈনিক মজুরি ও চুক্তি ভিত্তিক কর্মী ছাড়াও আরও দুই শ্রেণির কর্মীদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থ দপ্তর কিছু অস্থায়ী কর্মীর চাকরির মেয়াদ ৬০ বছর করে দিয়েছিল। তাঁদের নির্দিষ্ট বেতন, ছুটি, অবসরের পর এককালীন টাকা দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। তার কিছু দিন আগে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে বিভিন্ন দপ্তরে ছ’হাজারের বেশি চুক্তি ভিত্তিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। যাঁদের এই সুবিধের আওতায় আনা হয়। পরবর্তী সময়ে সরকার এ ভাবে বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করে তাঁদের এই সুবিধেগুলো দিয়েছে।