ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ, পৃথক ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
এই সময় | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ অব্যাহত। নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এর মাঝেই একের পর এক ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনা রাজ্যে।এক ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে যৌন হেনস্থার অভিযোগ পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। বছর ৩২-এর এক গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ধৃতের জামিন নাকচ করে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কাঁথি আদালত। ধৃত গৃহশিক্ষকের বাড়ি মেদিনীপুর শহরে হলেও পটাশপুরে বাড়ি ভাড়া করে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতেন তিনি। নাবালিকা ছাত্রীটি অভিযুক্তের কাছে টিউশন পড়ত।
অভিযোগ, কয়েক দিন আগে নিগৃহীতার ছবি বিকৃত করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে যৌন হেনস্থা করে। ওই ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে বুধবার সন্ধ্যায় পরিবারের লোকেরা অভিযুক্ত শিক্ষকের ভাড়াবাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পটাশপুর থানার পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
রাতে ছাত্রীটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এগরার এসডিপিও দেবীদয়াল কুণ্ডু বলেন, ‘নাবালিকা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত যুবকের কাছে নাবালিকা ছাত্রীটি টিউশন পড়ত। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
অন্যদিকে, শিলিগুড়িতে স্কুলের শৌচাগারে টেনে নিয়ে গিয়ে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করল নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে শিলিগুড়ির অদূরে ফুলবাড়ির পূর্ব ধনতলা স্কুলে। এ দিন স্কুলের ভিতরের আগাছা, জঞ্জাল পরিষ্কার করার জন্য কতৃর্পক্ষ স্থানীয় দুই যুবককে কাজে ডাকেন। তাঁরাই পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে শৌচাগারে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
কোনও রকমে ওই ছাত্রী দুই যুবকের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করে চিৎকার করতে করতে ক্লাসের দিকে ছুটতে থাকে। ছাত্রীর চিৎকার শুনে শিক্ষকেরা বাইরে বার হয়ে আসেন। অভিযুক্ত দুই যুবক দৌড়ে স্কুলের গেটের দিকে পালাতে থাকে। কিন্তু স্কুলের গেট বন্ধ থাকায় দু’জনকেই শিক্ষকেরা ধরে ফেলেন। ততক্ষণে অভিভাবকেরা স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে ভিতরে ঢুকে অভিযুক্ত দুই যুবককেই উত্তম মধ্যম দেন তাঁরা।
খবর পেয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। স্কুলের তরফে প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।