সরকারি হাসপাতালে চালু হচ্ছে বায়োমেট্রিক, রোগী কল্যাণ সমিতিতে কারা জানালেন মমতা
বর্তমান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাজ্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার যে সদা তৎপর তা আরও একবার স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বৃহস্পতিবার নবান্নে মমতা বৈঠক করলেন জেলা ও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে। এদিনের বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও। এদিনের মিটিং শেষে সাংবাদিক বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, রাজ্যের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। তারমধ্যেই দ্রুত গতিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। চিকিৎসক পড়ুয়াদের হস্টেলের নিরাপত্তার দিকেও আলাদা করে জোর দিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালগুলিতে সিসিটিভি, পানীয় জল, রেস্ট রুম এবং ওয়াশ রুম-সহ একাধিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজের কথাও উঠে এসেছে। পিডব্লুডির পাশাপাশি এবার থেকে হাসপাতালের অধ্যক্ষদেরও বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে অধ্যক্ষরা টেন্ডারও ডাকতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বন্যার পরিস্থিতিতে পিডব্লুডিরও অনেক কাজ রয়েছে। তাই প্রিন্সিপালদেরও বলছি, সুরক্ষার কাজ দ্রুত শেষ করতে যা যা প্রয়োজন করুন। এছাড়া সরকারি হাসপাতালের সুরক্ষায় এবার থেকে চালু করতে হবে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা। এছাড়া হাসপাতালে যারা বাইরে থেকে কাজ করতে আসছেন তাদের বিষয়েও বিস্তারিত তথ্য রাখতে হবে।
মমতা আরও বলেন, আজকের বৈঠক ভাল হয়েছে। সামনেই পুজোর মরশুম। তার আগে রাতের সাথী অ্যাপ কীভাবে দ্রুত চালু করা যায় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনা হয়েছে। এর আগে রাত্তিরের সাথী প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, সেই নির্দেশ মেনে যাবতীয় সংশোধন করেই চালু হবে রাত্তিরের সাথী। শীঘ্রই অ্যাপ তৈরি করবে রাজ্য সরকার। সেই অ্যাপ সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে খতিয়ে দেখবেন সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ।
পূর্ব ঘোষণা মতো রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেকথা আজ ফের স্পষ্ট করে জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, এবার থেকে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হবেন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষরাই। ওই সমিতিতে জুনিয়র চিকিৎসক, সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স এবং একজন করে জনপ্রতিনিধি রাখতে হবে। হাসপাতালের সিকিউরিটি অডিট বা নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিসের প্রাক্তন ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থ এবং বর্তমান ডিজি রাজীব কুমারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মমতা বলেন, ১২ হাজার পুলিসের রিক্রুটমেন্ট আটকে ছিল। সম্ভবত আগামী সোমবারই তার অর্ডার চলে আসবে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালের সুরক্ষায় আরও জোর দেওয়া সম্ভব হবে। পাশাপাশি জানিয়েছেন, সেমি কন্ডাক্টর কারখানার জন্য রাজ্য সরকার জমিও প্রস্তুত করে রেখেছে।