প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরুপাচার মামলায় অবশেষে জেলমুক্তি। 'নিশ্চয়ই ঈশ্বরের কাছে কোন পাপ করেছিলাম, সেই পাপের শাস্তি পেলাম', জামিন পাওয়ার পর বললেন অনুব্রত মণ্ডল।
গোরুপাচার মামলায় প্রায় ২ বছর তিহাড় জেলে বন্দি ছিলেন অনুব্রত। ২০২২ সালে ১১ অগাস্ট বোলপুরের নিচুপট্টি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এরপর সে বছরেরই নভেম্বরে একই মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন তিনি। রেহাই পাননি অনুব্রতের মেয়েও। গত বছর গোরু পাচার মামলায় সুকন্যাকে গ্রেফতার করে ইডি। বাবার সঙ্গেই তিহাড় জেলে ছিলেন তিনি। কতদিন? দেড়বছর।
এখন জামিনে মুক্তি বাবা-মেয়ে দু'জনেই। এদিন বোলপুরে তৃণমূল কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে অনুব্রত বলেন, আমার মেয়ে সাধারণ বাড়ির মেয়ে, নেতা নেত্রী নয়। তাও জেল খাটতে হল! নিশ্চয়ই ঈশ্বরের কাছে কোন পাপ করেছিলাম সেই পাপের শাস্তি পেলাম। তবে আমি চাইব, সবাই একসাথে চলুক কারও সাথে কোন অশান্তি যাতে না হয়'।
অনুব্রত তখন জেলে। লোকসভা ভোটের মুখে বীরভূমে বিধানসভা কেন্দ্র ভিত্তিক ৫ সদস্য়ের নয়া কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেষ্ট গড়ে ফিরলেও এখনও সেই কোর কমিটিতে ভরসা রাখছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে আগের মতো সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা করবেন কোর কমিটি সদস্যরাই। সূত্রের খবর তেমনই।
অনুব্রত বলেন, 'এমএলএ থেকে শুরু করে সব এলাকার নেতা, সভাধিপতি সবাই একসাথে মিলে চলতে হবে। যেমনটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন'। এরপরই গলায় খানিক কটাক্ষের সুর, 'কয়েকজনকে খুঁচিয়ে দিয়ে দু একটা বাইট নিয়ে নিলে নেতা হওয়া যায় না। এসব বাইট আমি অনেক দেখেছি'।
এদিকে গোরু পাচার মামলায় জামিন পাওয়ার যেদিন বোলপুরে ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল, তার পরের দিনই বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেষ্ট-র সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। অনুব্রত বলেন, 'আগামী সপ্তাহে চিকিত্সার জন্য কলকাতায় যাব। আমার মনে হয়, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা উচিত'। তবে মুখ্যমন্ত্রীর কথা হয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু বলতে চাননি তিনি।