ফের বৃষ্টির কারণে জল বেড়েছে বীরভূমের ময়ূরাক্ষী নদীতে। সে কারণে সিউড়ির তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল ৩ হাজার কিউসেক জল। জানা গিয়েছে, যদি এভাবেই বৃষ্টি বাড়তে থাকে, তাহলে পুনরায় জল ছাড়া হবে এই বাঁধ থেকে। আর সেই কারণেই নদী-পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলির প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও ফের বাড়ছে। যদিও নদী এখনও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। তবে জল ইতিমধ্যেই বিপদসীমার কাছাকাছি।
ওদিকে গজলডোবা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হচ্ছে। মেখলিগঞ্জে তিস্তা নদীর বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি। আজ, বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় জলপাইগুড়ি গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ ছিল ১৬৩৭ কিউমেক বলে জলপাইগুড়ি সেচ দফতর সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমসূত্রে জানা গিয়েছে। গজলডোবা ও সন্নিহিত অঞ্চলে লাগাতার ভারী বর্ষণ চলছে। জমছে জল। সমস্যায় বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়িতে অতিবৃষ্টির ফলে জলমগ্ন হয়েছে এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গত দুদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকায় জল জমেছে। বাড়িঘর, রাস্তাঘাট-- সব জায়গায় জল জমায় সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত। শহরের মূল এলাকা, বিভিন্ন বাজার এলাকা-সহ রাস্তায় জল জমেছে। আবাসন এলাকায় বাড়ির ভিতরে পর্যন্ত জল। নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় জল নিষ্কাশন হচ্ছে না। রাস্তাঘাট জলমগ্ন থাকায় যাতায়াত কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে। দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় মানুষজন।