• 'লালুপ্রসাদ যদি গ্রেফতার হতে পারে, তাহলে মমতা কেন গ্রেফতার হবে না?'
    ২৪ ঘন্টা | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে পথে বিজেপি। 'লালুপ্রসাদ যদি গ্রেফতার হতে পারে, তাহলে মমতা কেন গ্রেফতার হবে না'? হাজরার জনসভা থেকে প্রশ্ন তুললেন শিলিগুড়ি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বললেন, 'এই রাজ্যে অপরাধীদের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর পদত্যাগ না হলে অপরাধীরা শাস্তি পাবে না'।

    'দফায় এক, দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ'। আরজি কর কাণ্ডে এই দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন চালাচ্ছে রাজ্য বিজেপি। হাইকোর্টের অনুমতি এবার হাজরায় সভা করল গেরুয়াশিবির। কবে? গতকাল, বুধবার।  

    সেই জনসভায় বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ, এই দাবিকে সামনে রেখে আরজি করের ঘটনার পর থেকে আমরা যখন রাস্তায় নেমেছি, অনেকে এই প্রশ্ন করেছিলেন, আরজি করের অপরাধী শাস্তির দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি কতটা সঙ্গতিপূর্ণ? আজকে রাজ্য়ের অধিকাংশ মানুষের কাছে এটা উপলদ্ধি করেছে। এই রাজ্যে অপরাধীদের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।  তাঁর পদত্যাগ না হলে অপরাধীরা শাস্তি পাবে না'।

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের হুঁশিয়ারি, 'লালপ্রসাদ যাদব ১৯৯৬ সালে পশু খাদ্য কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হয়। ২০০০ সালে লালুপ্রসাদ যাদব জেলে যায়। ২০০২ সালে রাবড়িদেবী মুখ্যমন্ত্রী হন। লালুপ্রসাদ জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে রেলমন্ত্রী হন। ২০১৭ সালে NDA সরকারের সময়ে এই লালুপ্রসাদ যাদব দোষী প্রমাণিত হয়। ২০২০ সালে লালুপ্রসাদ যাদব, তাঁকে বাকি শাস্তির অংশটুকু পালন করতে হয়। অনুব্রত থেকে শুরু করে, মানিক থেকে শুরু করে যাঁরা জামিনে বেরোচ্ছেন, এটা ভাববেন না, আপনারা অপরাধ থেকে খালাস পেয়ে গিয়েছেন। যাঁরা আপনাদের মালা পরাচ্ছেন, তাঁদেরও আমরা লক্ষ্য রাখছি। আজ নয়, কাল সবকটাকে জেলে ঢোকাব'।

    এদিকে গোরু পাচার মামলায় জামিন পাওয়ার যেদিন বোলপুরে ফেরেন অনুব্রত মণ্ডল, তার পরের দিনই বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কেষ্ট-র সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। শঙ্করের কটাক্ষ, 'আসলে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক হিসেবটা মেলাতে পারছেন না। ওনার সঙ্গে দেখা করলে লাভ না দেখা না করলে লাভ। এই অংকটা মেলেনি বলে যাননি। তবে ওনার ইচ্ছা ছিল বাঘের কাছে যাওয়ার। যাননি, হিসেব গরমিল হয়ে আছে বলে'।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)