• ‘পঞ্চায়েতকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে’, ‘এক দেশ এক ভোট’ নিয়ে কেন্দ্রকে তোপ বিমানের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় কি কেন্দ্র সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে? তেমনই জল্পনা উসকে দিলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি বাস্তবায়িত করে আসলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্র। সারাভারত স্পিকার সম্মেলনে যোগ দিতে গত সোম ও মঙ্গলবার নয়া দিল্লিতে গিয়েছিলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।সেখান থেকে ফিরে কলকাতার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এনিয়ে নিজের আশঙ্কার কথা জানালেন তিনি।


    একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি স্পিকার সম্মেলনে যোগ দিতে নয়া দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই লোকসভার স্পিকার এমনই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিমান দাবি করেছেন, লোকসভার স্পিকার একটা কেন্দ্রীয়ভাবে আইন তৈরি করার কথা বলেছেন। যেখানে এই আইন দ্বারা পঞ্চায়েতগুলি পরিচালিত হবে। সেই প্রস্তাব অনুযায়ী, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের একটি সংস্থা কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে করবে। সেটা কেন্দ্র সরকারের। সেখানে তারা ঠিক করে দেবেন পঞ্চায়েত কীভাবে কাজ করবে? তবে এই প্রস্তাবের বিষয়ে আপত্তি জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে প্রশ্ন তোলেন, এটা বাস্তবের সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না। তার পরিপ্রেক্ষিতে লোকসভার স্পিকার কোনও উত্তর দিতে পারেনি বলে দাবি করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভার স্পিকার মনে করেন, আসলে পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্র। এ প্রসঙ্গে তিনি পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতগুলির কার্যক্রম নিয়ে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দুর্যোগের সময় আমাদের পঞ্চায়েত, বিশেষ করে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের সদস্যরা যেভাবে কাজ করছেন ভারতের অন্য কোনও রাজ্যে তা দেখা যায় না। এটা অভূতপূর্ব।’

    তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রের আরও অনেক গোপন এজেন্ডা রয়েছে। যেগুলি আস্তে আস্তে প্রকাশ পাচ্ছে। বাংলার উপর যেভাবে কেন্দ্র প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির কাজে কখনও হস্তক্ষেপ করি না। কারণ সেটি একটি স্বশাসিত সংস্থা। সেটির স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার আছে। রাজ্য সরকারও স্ট্যান্ডিং কমিটির কাজে হস্তক্ষেপ করে না।’ 

    অন্যদিকে, বিরোধী বিধায়কদের বাড়িতে সিবিআই, ইডি হানা নিয়েও কটাক্ষ করেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ বিধায়কদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে সিবিআই, ইডি। তার ফলে তাঁরা স্বাধীনভাবে এবং নির্ভয়ে কাজ করতে পারছে না। সবসময় আতঙ্কে থাকছেন কখন হয়তো হানা দিতে পারে। এনিয়ে আমি আগেও কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি দিয়েছিলাম যে আপনারা এইভাবে বিধায়কদের কাজে হস্তক্ষেপ করবেন না। কিন্তু, কোনও উত্তর পাইনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)