সৌম্য দে সরকার, মালদহ: শুধু রাজ্যে বা দেশে নয়, মালদহের আমের সুখ্যাতি জগৎজুড়ে। তবে শুধু আমই নয়, মালদহের আমজাত অন্যান্য সামগ্রীর চাহিদাও রয়েছে প্রবল। এই ‘আমকথা’ই এবার পুজোয় নজর কাড়বে মালদহ শহরের হংসগিরি লেনের নাট মন্দিরের পুজোয়। ২৯তম বর্ষে পা দিল নাট মন্দিরের পুজো। প্রতিবারই অভিনবত্বের ছোঁয়ায় নজর কাড়েন এই পুজোর উদ্যোক্তারা। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না সেই ট্র্যাডিশনের। বিবিধ প্রজাতির আম এবং প্রতিটি প্রজাতির নিজস্বতা নিয়ে এবার আমময় হয়ে উঠতে চলেছে এই পুজো।
নাটমন্দির পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য রাজা দত্ত বলেন, আমাদের বাজেট খুব কম। এবারও পুজোর বাজেট মাত্র ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু আর্থিক সামর্থ্য কম হলেও আমরা নতুন নতুন আঙ্গিকে সৃষ্টিশীল ভাবনায় মা দুর্গাকে আবাহন করি আমাদের মণ্ডপে। আমাদের পুজোয় রয়েছে আন্তরিকতার ছোঁয়া। তাই মানুষ ভিড় জমান আমাদের পুজো মণ্ডপে। নাটমন্দিরের পুজোর উদ্যোক্তারা বলেন, মালদহের নিজস্ব কিছু আমের প্রজাতি রয়েছে। গোপালভোগ, লক্ষ্মণভোগ, ল্যাংড়া, মল্লিকা, আম্রপালি সহ বিশেষ কিছু প্রজাতির আম বিশ্বের মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। কীভাবে এই আম উৎপাদন হয়, প্রতিটি প্রজাতির নিজস্বতা ও বৈশিষ্ট্য আমরা তুলে ধরব আমাদের পুজো মণ্ডপের বিভিন্ন স্থানে। নাটমন্দির পুজো কমিটির সভাপতি সুশান্ত ঠাকুর বলেন, মণ্ডপের মধ্যে থাকছে একটি মিনি আমবাজারও। ওই বাজারে দেখা মিলবে মালদহের পৃথিবী বিখ্যাত আমের বিভিন্ন প্রজাতির। মিলবে আমজাত বিভিন্ন সামগ্রীও।
খুব অল্প বাজেটে তাঁদের এই ‘আম ভাবনা’ মানুষকে এবছর তাঁদের মণ্ডপে টেনে আনবে বলে আশাবাদী এই পুজোর উদ্যোক্তারা।
তবে দেবী প্রতিমা নিয়ে কোনও পরীক্ষানিরীক্ষায় যেতে রাজি নন নাট মন্দির দুর্গোৎসব কমিটির সদস্যরা। তাঁদের প্রতিমা সাবেকি ঘরানারই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজা দত্ত। প্রচুর অর্থ ব্যয় করে প্রখ্যাত মণ্ডপ শিল্পী নয়, পাড়ার ছোটবড় সকলের হাতের উদ্ভাবনী ছোঁয়াতেই এবারের পুজোতেও নজরকাড়ার আশায় নাটমন্দির পুজো কমিটির সদস্যবৃন্দ।