মণিপুরের বরাত অমিল, বাংলা ও হিন্দি গানের তালে মণ্ডপ কাঁপাতে প্রস্তুত ডাবগ্রামের ঢাকিরা
বর্তমান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সুব্রত ধর, শিলিগুড়ি: দো ঘুট মুঝে ভি পিলা দে....এহেন একগুচ্ছ হিন্দি ও বাংলা গানের তালে ঢাক বাজানের তালিম নিচ্ছেন পূর্ব ফোকদইবাড়ির ঢাকিরা। সঙ্গে বাউল গান ও স্যাক্সোফোনের মিশেল। তাঁদের বক্তব্য, অশান্ত মণিপুর থেকে ডাক আসেনি। তাই পুজোয় শিলিগুড়ি শহরে অভিনব কায়দায় ঢাক বাজিয়ে সকলকে মাত করতে চাই। এজন্যই চটকা হিন্দি ও বাংলার পাশাপাশি বাউল গানের তালে ঢাক বাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। এজন্য প্রতিদিনই চলছে মহড়া।
শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব ফোকদইবাড়ি গ্রামে ওই ঢাকিদের বাড়ি। তাদের টিম লিডার পলাশ দাস। সারা বছর বিভিন্ন ব্যান্ডের দলে স্যাক্সোফোন, বাঁশি ও পিয়ানো বাজান। পুজোর সময় উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঢাক বাজাতে যান। এবার ভিনরাজ্যে না গিয়ে এখানেই প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের নিয়ে বাজনার টিম গড়েছেন। তিনি বলেন, এবার পুজোয় অশান্ত মণিপুর থেকে ডাক পাইনি। অসমের থেকে ডাক পেয়েছিলাম। পুজোয় পরিবারের সঙ্গে কাটাব বলেই অসমের ডাকে সাড়া দিইনি। তবে শিলিগুড়িতে পুজোর ক’দিন ঢাক বাজাব। বাজনায় আমরা নতুনত্ব কিছু ভাবনা এনেছি। ঢাকের তালে কোমর দোলে, কালে হে তো কেয়া হুয়া দিলবালে, দো ঘুট মুঝে ভি পিলা দে-এধরনের একগুচ্ছ গানের তালে ঢাক বাজানো হবে। তাতে স্যাক্সেফোন ও পিয়ানো সহ বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম থাকবে। বাউল গানের তালেও বাজানো হবে ঢাক।
পলাশের টিমে রয়েছেন তাঁর বাবা চন্দন দাস ও ভাই মঙ্গল দাস। বছরের অন্য সময় চন্দন টোটো চালান, আর মঙ্গল সেলুনে কাজ করেন। টিমে আরও দু’জন রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে একজন সারাবছর ঢাক বাজান, আর একজন অন্য সময় কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। মঙ্গলবার দুপুরে পলাশের বাড়িতে তাঁরা সকলে মিলে বাজনা বাজানোর চর্চা করছিলেন। সঙ্গে তাঁরা বিভিন্ন আকারের ঢাক রোদের তাপ দিয়ে পরিচর্যা করছিলেন। সকলেই বলেন, যে পুজো কমিটি যেমন চাইবে তেমনভাবেই ঢাক বাজানো হবে।