• পুজো মিটলেই কর্মসূচি, রণকৌশল ঠিক করতে বৈঠক বক্সি-অভিষেকের
    বর্তমান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দলের সাংগঠনিক অবস্থা এবং আগামীদিনের কর্মসূচি নিয়ে এক ঘণ্টার উপর আলোচনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্যামাক স্ট্রিটে এই বৈঠক হয়েছে। যেখানে তৃণমূলের সংগঠনের বর্তমানে কোথায়, কী অবস্থা, কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। আর জি করের ঘটনার আবহে তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের এই বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে দলের বাকি অংশ। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাতে বছর দেড়েক সময় রয়েছে। তার আগে সামনেই দুর্গোৎসব। এছাড়াও এবছরের শেষ তিন মাসে নানান উৎসব-অনুষ্ঠান রয়েছে। উৎসব-পার্বণগুলিকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সাধারণ মানুষের পাশেই থাকবেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি ও দলীয় পদাধিকারীরা, এমন নির্দেশও দিয়েছেন দল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ২০২৫ সাল তৃণমূলের কাছে রাজনৈতিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই বছরটিতে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সচেষ্ট থাকবেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকেই বছর ভিত্তিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দেবে তৃণমূল। সামগ্রিক গোটা বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বর্ষীয়ান সুব্রত বক্সি ও তরুণ তুর্কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একদফা বৈঠক করেছেন বলেই দলীয় সূত্রে খবর।


    এদিন বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ক্যামাক স্ট্রিটে যান তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দলের সংগঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন। সাধারণত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাটে, তৃণমূল ভবনে বা অন্য কোনও অডিটোরিয়ামে বৈঠক ডাকলে, সেখানে যেতেন সুব্রত ও অভিষেক। ওই বৈঠকেই দলের কথা বলতেন তাঁরা। কিন্তু আলাদাভাবে সুব্রত ও অভিষেকের বৈঠক এযাবতকালে তৃণমূলের রাজনৈতিক আলোচনার পর্বে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একজন দলের পোড়খাওয়া নেতা, অন্যজন দলের সেনাপতি, দু’জনের মধ্যে ঘণ্টাখানেক কী কথাবার্তা হল, সেটাই কৌতুহলের কেন্দ্রবিন্দুতে। তা নিয়ে তৃণমূল শিবিরের অন্দরেও বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, সংগঠনে রদবদল দ্রুত সেরে ফেলার বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। বুথস্তর থেকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার উপর আলোচনা করেছেন তৃণমূলের এই দুই নেতা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সংগঠনে আরও বেশি মাত্রায় এবং কর্মসূচিমুখী হোন, এমনটা চাইছেন দলের একটা অংশের নেতা-কর্মীরা। আগামীদিনে সংগঠন বিস্তারে অভিষেক আরও কর্মসূচিতে নিতে পারেন বলেই মনে করা হচ্ছে। আর জি করের ঘটনার পর বর্তমান সময়ে দলের একটি বৈঠক ডাকা হতে পারে। জনপ্রতিনিধি, নেতা, কর্মীদের আচরণ ও কর্তব্য নিয়ে ওই বৈঠকে শীর্ষ নেতৃত্ব সুস্পষ্ট বার্তা দেবেন বলেই খবর। যে রোড ম্যাপকে সামনে রেখেই ছাব্বিশের ভোটযুদ্ধে যাবে তৃণমূল। - ফাইল চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)