বাজেয়াপ্ত সামগ্রীতে সই করা ব্যক্তিরা সিবিআইয়ের নজরে
বর্তমান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা:আর জি কর থেকে বাজেয়াপ্ত সামগ্রীতে সাক্ষী হিসেবে যাঁরা সই করেছেন, এবার তাঁরা সিবিআইয়ের নজরে। সমস্ত জিনিস দেখার পরই সই করেছিলেন, নাকি পুলিস সাদা কাগজে তাঁদের দিয়ে সই করিয়ে পরে সিজার লিস্ট তৈরি করেছিল, এই রহস্যভেদ করতেই তাঁদের ডাকা হচ্ছে বলে খবর। এজেন্সির দাবি, টালা থানায় বসে তৈরি হওয়া ভুয়ো নথিতেও সই সহ সাক্ষী হিসেবে কয়েকজনের নাম রয়েছে। ঘটনাচক্রে তাঁরা হাসপাতালেও সাক্ষী ছিলেন। সেখানে তাঁদের স্বাক্ষরের সঙ্গে থানায় ভুয়ো নথিতে সইয়ের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলে সিবিআই আরও দাবি করেছে। যা নিয়ে জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিবিআই আদালতের রিমান্ড লেটারে দাবি করে, টালা থানায় বসে ভুয়ো নথি তৈরি ও অদলবদল করা হয়েছে। এর তদন্তে নেমে থানার মালখানার দায়িত্বে থাকা অফিসারের ভূমিকা তদন্তকারীদের আতস কাঁচের তলায়। তাঁরা জেনেছেন, হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে সমস্ত সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসা হয় টালা থানায়। পরের দিন সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর কথা ছিল। নিয়মানুযায়ী, মালখানার দায়িত্বে থাকা অফিসার সই করে সমস্ত জিনিস বুঝে নেবেন। তদন্তকারীরা জানতে চাইছেন, এই নিয়ম মেনে চলা হয়েছিল, নাকি নমুনাগুলি মালখানায় না রেখে থানার অন্য কোথাও রাখা হয়েছিল! তদন্তকারীদের সন্দেহ, দ্বিতীয় সম্ভাবনাই প্রবল। কারণ তা না হলে জাল নথি তৈরি করা সম্ভব নয়। তদন্তকারীরা শুনেছেন, বাজেয়াপ্ত করা নমুনার প্যাকেট নাকি খোলা হয়েছিল। যদিও এর স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ তাঁরা পাননি। পাশাপাশি সিবিআই জেনেছে, জিডি বুকে লেখার ক্ষেত্রেও কিছু জায়গা অল্প ফাঁকা রাখা হয়। যাতে সেখানে পরে কিছু শব্দ ঢোকানো হয়। এক্ষেত্রে সেটি করা হয়েছে বলে তদন্তকারীরা দাবি করেছেন। এই সংক্রান্ত প্রমাণও তাঁদের হাতে এসেছে বলে সিবিআই জানিয়েছে। একইসঙ্গে সেমিনার হলেও উল্টোদিকের অংশ ভাঙার সময় পুলিসের নজর কীভাব এড়িয়ে গেল, তাই নিয়ে প্রাক্তন ওসিকে প্রশ্ন করা হলে যুক্তিসঙ্গত ব্যাখ্যা মেলেনি বলে এজেন্সি দাবি করেছে।