• বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ হল নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণপর্ব
    বর্তমান | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তা কঠোর করতে নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল বারাসত জেলা পুলিস। বুধবার তিনদিনের সেই প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত তথ্য ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হবে (ব্যাকগ্রাউন্ড চেক) বলেও জানা গিয়েছে। 


    আর জি কর কাণ্ডের পর মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থার দাবি প্রথম দিন থেকেই তুলেছিলেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। ফল বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ৪৭৯টি সিসি ক্যামেরা লাগানো ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে প্রতিটি বিভাগে ডিউটি চলাকালীন পুরুষ ও মহিলা ডাক্তারদের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্রামকক্ষ আছে কি না, সেগুলির পরিকাঠামো কেমন, বিশ্রামকক্ষের সঙ্গে লাগোয়া টয়লেট রয়েছে কি না, সেগুলি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এবার বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করল বারাসত জেলা পুলিস।


    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা ৫১জন। বুধবার থেকে তাঁদের প্রত্যেকের তিনদিনের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল মধ্যমগ্রামের দোলতলা পুলিস লাইনে। বারাসত জেলা পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, জনতার ক্ষোভ কীভাবে সামাল দিতে হয়, তা নিয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক কিছু বিষয়ে শেখানো হচ্ছে। আগামীতে বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য আরও ৬৯ জন নিরাপত্তারক্ষী নেওয়া হবে। এজন্য প্রথমে তাঁদের বায়োডেটা পুলিস খতিয়ে দেখবে।


    এই প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার ডাঃ সুব্রত মণ্ডল বলেন, যে এজেন্সি হাসপাতালের পুরনো নিরাপত্তারক্ষী দিয়েছে, তাদেরই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৬৯ জনের নাম নথি সহ জমা দিতে বলা হয়েছে। তারপর সেগুলি পুলিস সুপারের অফিসে পাঠিয়ে ‘ভেরিফিকেশন’ করে দেখা হবে। তারপরই নিয়োগ করা হবে। এই প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের মধ্যে একজন বলেন, অনেক নতুন কিছু শিখলাম। তবে আমাদের রোজের বেতন বৃদ্ধি করা হলে ভালো হয়। আর আমরা ৩০ দিনের বদলে ২৬ দিনের বেতন পাই। এই নিয়েও পদক্ষেপের আর্জি জানাচ্ছি প্রশাসনকে।
  • Link to this news (বর্তমান)