কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? বিহারের ২ ছাত্রকে ওঠবোসের ঘটনায় মমতার পুলিশকে চিঠি নীতীশদের
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিলিগুড়িতে বিহারের দুই চাকরিপ্রার্থীকে হেনস্থার যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে চিঠি লিখল নীতীশ কুমার সরকার। অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে এবং বিহারের পড়ুয়াদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে সেই চিঠি পাঠিয়েছেন বিহার পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল । এখনও পর্যন্ত কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে জানতে চেয়েছে নীতীশ কুমার সরকারের শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক। চিঠির একটি কপি পাঠানো হয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের কাছে। যে পুলিশ কমিশনারেটের তরফে জানানো হয়েছে যে ইতিমধ্যে রজত ভট্টাচার্য ও গিরিধারী রায়কে গ্রেফতার করেছে বাগডোগরা পুলিশ। তাঁরা দু'জনেই বাংলা পক্ষের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে।
বিহার পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পোস্ট করে অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বিহারের পড়ুয়ারা।
যে ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে একটি ঘরে দু'জন আছেন। আচমকা সেই ঘরে ঢুকে একজন তাঁদের প্রশ্ন করছেন যে 'কোথা থেকে এসেছো?' একজনকে বলতে শোনা হিয়েছে, ‘ফিজিক্যাল টেস্টের জন্য বিহারের দানাপুর থেকে এসেছি আমরা। আমরা পশ্চিমবঙ্গের ছেলে নই।’ পালটা এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায় যে বিহারের ছেলে হয়েও কেন শিলিগুড়িতে সেন্টার বেছে নিয়েছেন? দু'জনকে কান ধরে ওঠবোস করানো হয়। ওই ব্যক্তিরা নিজেদের আইবির লোক হিসেবেও পরিচিতি দেন।
আর সেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যাঁরা বাংলা পক্ষের সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। ধৃত রজতের দাবি, যাঁরা স্থানীয় পরীক্ষার্থী, তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে অনেকে এসে পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। সেই অভিযোগের পরই তাঁরা পুলিশ এবং আইবিকে জানিয়ে রানিডাঙার ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন রজত।
কিন্তু নিজেদের আইবির লোক বলে দাবি করেছেন কেন? রজতের দাবি, তাঁরা বলেননি যে তাঁরা পুলিশ বা আইবির লোক। তবে যখন ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হচ্ছিল, সেইসময় পাশ থেকে ওরকম কথা বলে থাকতে পারেন বলে দাবি করেছেন রজত। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।