মদ্যপান করার সময় দুই যুবকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তার জেরে এক জনের ঘাড়ে কোপ মারেন অন্য জন। অভিযুক্তকে মারধর করেন স্থানীয়েরা। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তিনটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড়ের পোলেরহাট থানার স্বস্ত্যয়নগাছি মণ্ডল পাড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার স্বস্ত্যয়নগাছি এলাকায় সফিকুল মোল্লা এবং তারাপদ মণ্ডল একসঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় দু’জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারাপদ একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে সফিকুলের ঘাড়ে কোপ দেন। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সফিকুল। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন। তাঁরা তখনই হাতেনাতে ধরে ফেলেন তারাপদকে। অভিযোগ, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পোলেরহাট থানার পুলিশ। তারাই দু’জনকে উদ্ধার করে জিরেনগাছা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
পরে দু’জনকেই কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ক্ষোভে অভিযুক্ত তারাপদ-সহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে গ্রামবাসীরা আগুন ধরিয়ে দেন বলে অভিযোগ। নিমেষের মধ্যে একটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে পোলেরহাট থানার পুলিশকর্মীরা এসে অন্য দু’টি বাড়িতে জল দিয়ে আগুন নেভান। তদন্ত শুরু করেছে পোলেরহাট থানার পুলিশ।