• শহরে জমায়েত সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করবে পুলিশ? জানতে চায় হাইকোর্ট
    এই সময় | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • শহরে জমায়েত সংক্রান্ত কলকাতার পুলিশের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের কোনও সুযোগ রয়েছে কি না, তা পরবর্তী শুনানিতে জানানোর জন্য রাজ্যকে নির্দেশ হাইকোর্টের।কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মার সই করা বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলা চত্বরে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত জমায়েত করা যাবে না। পাঁচ জনের বেশি একসঙ্গে চলাফেরা, দাঁড়িয়ে থাকা বা জমায়েত করা যাবে না। ফলে পুজো কী ভাবে হবে? প্যান্ডেলে ঘোরাঘুরি কি বন্ধ? এই সব প্রশ্ন ওঠে। ওই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জোড়া মামলা। আদালতের দ্বারস্থ হয় সিপিএম এবং জয়েন্ট ডক্টর্স ফোরাম।

    শুক্রবার মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য আদালতে জানায়, ২০২৩ সালে কে সি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত এলাকায় জমায়েত নিয়ে ওই নির্দেশিকা জারি হয়েছিল। গত নভেম্বর মাসেও তা লাগু ছিল। এ বার সেই নির্দেশের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র ওই এলাকার সঙ্গে বেন্টিক স্ট্রিটকে নতুনভাবে যুক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই বিজ্ঞপ্তি কলকাতার সব এলাকার জন্য নয়।

    রাজ্যের এই বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য আদালতে আবেদন জানান মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রাজ্য জানায়, বিজ্ঞপ্তির মেয়াদ ছয় মাস পরপর বাড়ানো হয়।

    বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান, ‘ যে সমস্ত থানা এলাকায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে সেখানে অনেক পুজো হয়। সেই সব পুজোর কী হবে?’ হাইকোর্ট রাজ্যকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার সুযোগ রয়েছে কি না, তা জানাতে হবে মামলার পরবর্তী শুনানিতে। যদি তা প্রত্যাহার করা না যায় সে ক্ষেত্রে ওই এলাকায় (যেখানে এই নিষেধাজ্ঞা লাগু করেছে পুলিশ) সমস্ত পুজো বন্ধ করতে হবে।’ বামেদের তরফে কলেজ স্কোয়ার, বউবাজার থেকে ধর্মতলা হয়ে একটি মিছিলের জন্য আবেদন করা হয়। আগামী শুনানির মধ্যে রাজ্য যদি অনুমতি না দেয় সেক্ষেত্রে আদালত এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবে বলে জানান বিচারপতি।
  • Link to this news (এই সময়)