রাজ্যে পৌঁছেছে পদ্মার ইলিশ। শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়া পাইকারি বাজারে মিলছে রুপোলি শস্য। খুচরো বাজারেও যাচ্ছে এই মাছ। ৮০০ থেকে ১ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪৫০ থেকে ১৬০০ টাকায়। রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ এসেছে। এর মধ্যে হাওড়া পাইকারি বাজারে এখনও পর্যন্ত এসেছে ১০ মেট্রিক টন ইলিশ। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রথম লপ্তে ইলিশ ঢুকেছে, তাই দাম অপেক্ষাকৃত বেশি। পরের ধাপে আরও ইলিশ ঢুকলে দাম কমতে পারে।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস হাসিনা সরকারের পথে হেঁটেই পুজোর সময় ভারতকে ইলিশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। যদিও এই নিয়ে বিস্তর টালবাহানা করেছে বাংলাদেশ। পরে ইলিশ নিয়ে সুর নরম করেছে ওপার বাংলা। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। পরে সেই সংখ্যাটা কমিয়ে ২ হাজার ৪০০ টন করা হয়। আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ভারতে পদ্মার ইলিশ প্রবেশ করেছে। খুশি মৎস্য ব্যবসায়ীরা। ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন কলকাতার সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানান, হাওড়ার মাছ বাজারে ইতিমধ্যেই পদ্মার ইলিশ এসে পৌঁছেছে। চাহিদা তুঙ্গে। দূর দূরান্ত থেকে ছোট মাছ ব্যবসায়ীরা এসেছেন পদ্মার এই ইলিশ কেনার জন্য।
আরও মাছ ঢুকলে ইলিশের দাম কমবে বলে আশা করছেন তিনি। তাঁর কথায়, প্রথম দিন মাছ ঢুকেছে বাজারে। জোগানও কম। ফলে দাম অনেক বেশি। আগামী সপ্তাহে আরও বেশি মাছ ঢুকলে কমতে পারে দাম।
পুজোর সময় ইলিশ পাতে চান বহু বাঙালি। আর তা পদ্মার ইলিশ হলে তো কথাই নেই। গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ থেকে পুজোর সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ ভারতে আসে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হয় নি। আরও বেশি পরিমাণ ইলিশ ঢুকলে তার দাম মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে আসতে পারে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।