জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম বিশ্বজিৎ বাড়ুই। বলাগড়ের মিলনগড় যতীন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তিনি। অভিযোগ, গতকাল বৃহস্পতিবার স্কুলে যখন পরীক্ষার খাতা দেখানো হচ্ছিল, তখন সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রী শ্লীলতাহানি করেন বিশ্বজিত্। বাড়ি ফিরে মা-কে ঘটনাটি জানায় ওই ছাত্রী।এরপর আজ, শুক্রবার সকালে স্কুলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবক। গেটের বাইরে আটকে রাখা হয় শিক্ষকদের।
অভিভাবকদের দাবি, মত্ত অবস্থায় স্কুলে আসেন বিশ্বজিত্। স্রেফ খারাপ ব্যবহারই নয়, এর আগেও নাকি নানা অছিলায় অসত্ উদ্দেশ্যে ছাত্রীদের শরীর স্পর্শ করার করেছেন তিনি। খবর পেয়ে স্কুলের পৌঁছয় বলাগড় থানার পুলিস। অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয় বিক্ষোভকারীদের। পুলিস সুত্রে খবর, থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ছাত্রী পরিবার।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক আজ, শুক্রবার স্কুলে আসেননি। তাঁর দাবি, 'গতকাল সপ্তম শ্রেণির ক্লাস নিতে যাই। ছাত্রছাত্রীরা বলে লাইব্রেরিতে যাব। আমি ওদের নিয়ে যাই। বই নিয়ে পড়াশোনা করার পর সবাই বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর শিক্ষকদের থেকে জানতে পারি, একটা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। হেনস্তা হতে পারি, এই আশঙ্কায় স্কুলে যাইনি। ওই ছাত্রীর বয়সী আমার ছেলে আছে। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।আইনিভাবেই জবাব দেব'। স্কুলের প্রধানশিক্ষকের বক্তব্য, 'স্কুল পরিচালন সমিতিকে জানিয়েছি। ওই শিক্ষক মদ খেয়ে স্কুলে আসেননি কিনা, জানা নেই। অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করব'।