আর্থিক অবস্থা ভালো নেই অনুব্রত মণ্ডলের। তাই পুজোয় গ্রামের বাড়ি গেলেও আগের মতো পাত পেড়ে গ্রামবাসীদের খাওয়াতে পারবেন না তিনি। নিজেই জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শুক্রবার হাটসেরান্দিতে নিজের গ্রামের বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। গ্রেপ্তারের আগে প্রতি বছর পুজোয় তিনি কাটাতেন এই বাড়িতেই। গ্রামের মানুষের জন্য ভোজের আয়োজন করতেন। পুজোর দিনগুলো আয়োজন, জাঁকজমকে কোনও খামতি রাখতেন না তিনি। অনুব্রত মণ্ডল জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর অনেকেই আশা করেছিলেন পুরনো দিনের মতো ভোজের আয়োজন হয়তো করবেন তিনি।
কিন্তু শুক্রবার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘আমার এই বছর খাবার আয়োজন করার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই।’ বাড়িতে মূর্তি নির্মাণের কাজের তদারকি করতে দেখা যায় তাঁকে।
পুজোর দিন সকালে গ্রামের বাড়িতে পা রাখবেন তিনি। এলাকার মানুষের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেবেন। পূর্বপুরুষের ভিটেতে পা রেখে আবেগ চেপে রাখতে পারেননি কেষ্ট। তিনি বলেন, ‘এই বাড়িতেই আমার বাবা-ঠাকুর্দা জন্মেছিলেন। আলাদা আবেগ কাজ করে এখানে এলে।’ বাবার সঙ্গে এ দিন গ্রামের বাড়িতে পা রাখেন সুকন্যাও। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন। অনুব্রত মণ্ডল জানান, গ্রামের বাসিন্দারাই তাঁর পরিবার।
২০২২ সালে ১১ অগস্ট গোরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাঁকে। পরে ইডি তাঁকে হেফাজতে নেয় এবং রাখা হয়েছিল সুদূর তিহাড়ে। এই মামলায় ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও।
সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল এবং সুকন্যা। তাঁরা ফিরে এসেছেন নিজেদের গ্রামের বাড়িতে।