উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃ্ষ্টিপাত। তার জেরেই দার্জিলিং, কালিম্পঙের নানা এলাকায় ফের ধস নেমেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তা থেকে খসে পড়ছে পাথর। আপাতত রাস্তাটি খোলা। তবে খুব প্রয়োজন ছাড়া এই রাস্তা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।সকাল থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির লম্বা লাইন। সিকিমেও ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। ফলে বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। রাস্তায় প্রবল যানজট। ফলে বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। যে যে রাস্তায় ধস নেমেছে সেখানে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে প্রশাসন এবং সরানো হচ্ছে ধস। উল্লেখ্য, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস এবং ধসের জন্য ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মোট ৯ বার বন্ধ রাখা হয়। পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত মঙ্গলবারই ফের খুলেছিল এই রাস্তা। কিন্তু, ধসের কারণে বাংলা-সিকিম ‘লাইফ লাইন’ বিপর্যস্ত।
শুক্রবার সকাল থেকে মিরিক,দুধিয়া, শিটং-সহ বেশ কয়েক জায়গায় ধস নামে। ঘুম সুখিয়া পোখরি রোডে রাস্তার একাংশ ধসে বিপর্যস্ত। বৃষ্টি হয়েই চলেছে। তার ফলে পুরো রাস্তা ধসে যেতে পারে, সেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধস নেমেছে মিরিকের রাস্তাতেও। পুলিশ রাস্তায় লোহার গার্ড রেল লাগিয়ে দিয়েছে। শিটংয়ের নীচের অংশও ধসে বিপর্যস্ত বলে জানা গিয়েছে। দুধিয়া পানিঘাটা রোড সকালে ধসের জেরে বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ছিল। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য তৎপরতা দেখানো হয় প্রশাসনের তরফে এবং সরিয়ে দেওয়া হয় ধস।
এ দিকে বৃষ্টিপাতের জেরে সমতলের নদীগুলির জল বাড়তে শুরু করেছে। মহানন্দা নদীর জলস্তর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অনেকটাই বেড়েছে। তিস্তার জলস্তরের উপরেও নজর রেখেছে প্রশাসন। আপাতত জলস্তর বিপদসীমার নীচেই রয়েছে।