এই সময়, কৃষ্ণনগর: অভিযোগের পাহাড় কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজে। গত তিন দিন ধরে অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি তদন্ত করছে। বৃহস্পতিবার শেষ দিনেও নতুন করে অভিযোগ জমা পড়েছে। এই কমিটির আহ্বায়ক সৌগতকুমার বর্মন বলেন, ‘আগে জমা হওয়া আড়াইশোর বেশি অভিযোগের তদন্ত এ দিন বিকেলে শেষ করা গিয়েছে। আরও নতুন অভিযোগ এসেছে। তা খতিয়ে দেখতে ফের তদন্ত করা হতে পারে। তদন্তের রিপোর্ট কবে জমা পড়বে?সৌগত বলেন, ‘যেভাবে ভূরি ভূরি অভিযোগ এসেছে সব এভিডেন্স খতিয়ে দেখে কলেজ কাউন্সিলে রিপোর্ট দিতে একটু সময় লাগবে।’
জানা গিয়েছে, এই তিন দিনে অভিযুক্ত মেডিক্যাল-পড়ুয়াদের ভাগ ভাগ করে ডাকা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে কলেজের স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার কমিটি ভেঙে দেওয়া হলেও সেই কমিটির অভিযুক্ত তিন ছাত্রনেতাকে এ দিন ডাকা হয়েছিল তদন্ত কমিটির সামনে। বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী পড়ুয়া, ইন্টার্ন ও দু’এক জন অভিভাবককেও এ দিন হাজির হন কমিটির সামনে।
এক ডাক্তারি-পড়ুয়া বলেন, ‘নির্যাতনের মাত্রা এতটাই ছিল যে, দাদাদের অপছন্দের পাত্র হলে খেলার মাঠ থেকেও সরে যেতে হতো। জুনিয়র চেলাদের লেলিয়ে দিয়ে অপছন্দের সিনিয়রদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হতো। পছন্দের তালিকায় নাম না থাকলে রুমে তালা দিতে ভুলে গেলে ওরা ওদের তালা লাগিয়ে দিত।’
আর এক ডাক্তারি-পড়ুয়া বলেন, ‘অ্যানাটমির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বাইরে থেকে কিনলে ওই দাদাদের কুনজরে পড়তে হতো। হস্টেলের একটা রুম নিজেদের দখলে রেখে দাদারা ওই বেআইনি ব্যবসা চালাত। ওদের হাতে মার খেয়ে কেউ থানায় অভিযোগ জানালে আরও নির্মম অত্যাচার জুটতো কপালে।’