• ১১২ ফুটের প্রতিমা তৈরির অনুমতি দিল না প্রশাসন, আদালতে জানালেন জেলাশাসক
    এই সময় | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রানাঘাটে ১১২ ফুট দুর্গা প্রতিমা তৈরির অনুমতি দিল না জেলা প্রশাসন। পুলিশের অনুমতি না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দরজায় কড়া নাড়েন উদ্যোক্তারা। ওই পুজোর অনুমতি দেওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা বৃহস্পতিবারের মধ্যে আদালতে লিখিতভাবে জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার নদিয়ার জেলাশাসক আদালতে জানান, পুলিশ, বিদ্যুৎ দপ্তর, দমকল, রানাঘাট মহকুমাশাসক এই পুজোর জন্য অনুমতি দেননি।চলতি বছর নদিয়া জেলার রানাঘাটের কামালপুর অভিযান সংঘ ১১২ ফুট দুর্গা প্রতিমা তৈরির উদ্যোগ নেয়। কিন্তু এই মূর্তি তৈরির জন্য অনুমতি দেয়নি পুলিশ ও প্রশাসন। সম্প্রতি বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুজো উদ্যোক্তারা। গত বুধবার কলকাতা হাইকোর্ট নদিয়ার জেলাশাসককে এই পুজোকে অনুমতি দেওয়া নিয়ে প্রশাসনের মতামত জানাতে বলে। বৃহস্পতিবার তিনি প্রশাসনের রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। এ দিন নদিয়ার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ হাইকোর্টকে জানিয়েছেন, পুজোর অনুমতি পাওয়ার জন্য যে সমস্ত সরকারি নিয়ম রয়েছে তা মেনে চলেননি এই পুজো উদ্যোক্তারা। সেই কারণে নদিয়া জেলা প্রশাসন ১১২ ফুটের এই দুর্গা প্রতিমা তৈরির অনুমতি দেয়নি।

    রানাঘাটের মহকুমাশাসক অভিযান সংঘের আবেদন সম্পূর্ণরূপে বাতিল করে দিয়েছেন। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে শুরু করে পুলিশ, সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, এমনকী দমকল বিভাগের অনুমতিও পায়নি এই পুজো কমিটি। জানা গিয়েছে, উদ্যোক্তারা এই প্রতিমা এবং প্যান্ডেলের জন্য মাত্র প্রতিদিন ৩ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ খরচের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এত বড় পুজো এবং মণ্ডপকে আলোকিত করা এত কম বিদ্যুতে অসম্ভব বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা।

    পাশাপাশি পুলিশের তরফে জানানো হয়, পেল্লায় প্যান্ডেল তৈরি হলে তা দেখতে আসবেন বহু মানুষ। বিপুল ভিড় হতে পারে। আর বিপুল ভিড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা। যদিও উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন, ভিড়ের কথা চিন্তা করে প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং বাউন্সার নিয়োগ করা হয়েছিল। অস্থায়ী জেনারেটরের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছিলেন আয়োজকরা।

    এলাকার প্রায় ২০টি গ্রাম এবং একাধিক ক্লাব সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসেছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্গা তৈরির জন্য। কিন্তু অনুমতিনা মেলায় আপাতত অনিশ্চিত পুজোর ভবিষ্যৎ। আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটির ফের শুনানি হবে। আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও অনুমতির জন্য আবেদন করেছেন তাঁরা।
  • Link to this news (এই সময়)