IB বলে বিহারিদের হেনস্থা বাংলা পক্ষের, হাঁড়ি ভাঙল পুলিশ, উধাও গর্গের প্রোফাইল
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
‘আরে আইবি, হামলোগ পুলিশ, হ্যাঁ, এই যে, এই যে, আইবি’- শিলিগুড়িতে বিহারের চাকরিপ্রার্থীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, তাতে এমনই কথা বলতে শোনা গিয়েছে একজনকে। যদিও সেই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া রজত ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, তাঁরা নিজেদের আইবি বা পুলিশের লোক বলে দাবি করেননি। যখন ভিডিয়ো করা হচ্ছিল, তখন আশপাশ থেকে কেউ সেই কথা বলে থাকতে পারেন বলে দাবি করেছেন। আর পুলিশও সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। পুলিশ সাফ জানিয়েছে যে আইবির লোক নন হেনস্থাকারীরা। তবে রজত দাবি করেছেন, যখন বিহারের যুবকদের কাছে যাচ্ছিলেন, তখন সেই বিষয়টি পুলিশ এবং আইবিকে জানিয়েছিলেন। আর সেইসবের মধ্যেই এক্স থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে বাংলা পক্ষের আহ্বায়ক গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের অ্যাকাউন্ট। রজত সেই সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে।
দাবি করা হয়েছে যে আধা-সামরিক বাহিনীর নিয়োগের ফিজিক্যাল টেস্টে দিতে শিলিগুড়িতে আসেন বিহারের দুই যুবক। তাঁরা রানিডাঙার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছিলেন। সেইসময় তাঁদের হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় বাংলা পক্ষের দুই সদস্য রজত ও গিরিধারী রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আর গ্রেফতারির পরে রজত দাবি করেছেন যে তাঁরা পুলিশকে জানিয়েই রানিডাঙার ভাড়াবাড়িতে যান। সংবাদমাধ্যম উত্তরবঙ্গ সংবাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রজত দাবি করেছেন যে স্থানীয় প্রার্থীদের থেকে ওই ভাড়াবাড়িতে যান। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের অনেকেই জাল শংসাপত্র বানিয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে পরীক্ষা দিয়ে যান। এবারও সেরকম অভিযোগ তোলেন স্থানীয় প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ পাওয়ার পরে বিষয়টি বাগডোগরা থানায় জানান। আইবিকেও জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেছেন রজত। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
কিন্তু ওই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে হইচই পড়ে গিয়েছে। আর তারইমধ্যে এক্স থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে গর্গের অ্যাকাউন্ট। এখন এক্সে তাঁর অ্যাকাউন্ট খুঁজতে গেলে বলা হচ্ছে যে 'এই অ্যাকাউন্টটি নেই।' তবে এক্সে বাংলা পক্ষের অ্যাকাউন্ট আছে। বিষয়টি নিয়ে গর্গের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রাথমিকভাবে যখন বিহারের দুই চাকরিপ্রার্থীকে হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছিল, সেইমসয় গর্গ দাবি করেন যে দেশের সামরিক এবং আধা-সামরিক বাহিনীর যে বিভিন্ন পরীক্ষা হয়, তাতে অংশগ্রহণের জন্য পশ্চিমবঙ্গের জাল নথি তৈরি করেন অনেকে। সেই জাল নথি নিয়ে বাংলায় পরীক্ষা দিতে আসেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গের যাঁরা যোগ্য প্রার্থী আছেন, তাঁরা নিজেদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যাতে বঞ্চনার মুখে না পড়েন, সেটার পক্ষেই সওয়াল করেছে বাংলা পক্ষ। এখানে অন্য কোনও বিষয় যুক্ত নেই বলে দাবি করেন গর্গ।
আরও পড়ুন: Heavy Rain Forecast amid Monsoon: আজ ৪ জেলায় কমলা সতর্কতা, অতি ভারী বৃষ্টি হবে, দেবীপক্ষের শুরুতেও প্রবল বর্ষণ?