সেমিনার রুমে কি খুন হয়নি? ঘুরে যেতে পারে আরজি কর তদন্ত, সিবিআই নজরে বিশেষ জায়গা!
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জেরে একের পর এক প্রশ্ন সামনে আসতে শুরু করেছে। আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে তাকে সিবিআই নিজেদের হেফাজতে নেয়। এবার নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সেমিনার রুমেই কি খুন হয়নি?
অন্য জায়গায় খুন করে কি সেমিনার রুমে বডি রাখা হয়েছিল? এদিকে ঘটনার পরে তড়িঘড়ি সংস্কারের নাম করে সেমিনার রুম সংলগ্ন একটি ঘরকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তখন থেকেই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি প্রমাণ লোপাটের জন্যই সেমিনার রুম সংলগ্ন ঘরকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি আজও। তবে ধোঁয়াশা বাড়ছে ক্রমশ।
তবে সিবিআই এবার হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ব্লকের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় চোখ পড়েছে সিবিআইয়ের। ডিজিটাল তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই সিবিআই সার্বিকভাবে খোঁজ চালাচ্ছে। মূলত ঘটনাস্থলটিকে চিহ্নিত করলে অনেক সূত্র বেরিয়ে আসতে পারে।
মূলত ঘটনার দিন কয়েকজন সন্দেহভাজনের মোবাইল টাওয়ার ঠিক কোথায় ছিল সেটা জানার চেষ্টা করছে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই সঙ্গেই ফরেনসিক কিছু রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে সিবিআই। সেসব হাতে পেলে বহু প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে বুধবার আদালতে সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে টালা থানায় কিছু ভুয়ো নথি তৈরি করা হয়েছিল। এরপর সেগুলি বদলানো হয়েছিল। টালা থানার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও হার্ড ডিস্ক থেকে কী ধরনের তথ্য় মিলছে তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে।
সব মিলিয়ে টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। পুলিশ সেদিন কারোর প্ররোচনায় একাধিক অনিয়ম করেছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। মূলত একাধিক মিসিং লিঙ্ক ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আর সেই জট কাটানোর জন্য সিবিআই এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে সম্প্রতি এক সিবিআই অফিসার বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। ‘২৬ বছরের কেরিয়ারে এত অবহেলায় তৈরি সুরতহাল রিপোর্ট দেখিনি’- আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এক সিবিআই অফিসার এমনই বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বলে আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্টে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে কায়দায় নির্যাতিতা তরুণীর সুরতহাল করা হয়েছে, সেটার পদে পদে খামতি ধরা পড়েছে বলে জানিয়েছেন সিবিআই অফিসার।