• স্কোয়্যারফুট সেনের পর, স্কোয়্যারফুট সরকার? শুভেন্দুর পোস্ট করা ভিডিয়োয় চাঞ্চল্য
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • কলকাতা ও লাগোয়া এলাকায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্কোয়্যার ফুট হিসাবে তোলাবাজি করার অভিযোগ নতুন নয়। এবার ভিডিয়ো প্রকাশ করে ফের সেই অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ভিডিয়োতে কলকাতা পুরসভার ১২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ছন্দা সরকারকে কয়েকজন যুবককে রফা করতে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োর সত্যতা অস্বীকার না করলেও শুভেন্দু অধিকারীকে জুতিয়ে সোজা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ছন্দাদেবী।


    পড়তে থাকুন - উৎসব নয়, পুজো হবে, অনুদান ফিরিয়ে জানাল আরজি করের নির্যাতিতার পাশের পাড়ার পুজো

    শুক্রবার দুপুরে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে শুভেন্দুবাবু লেখেন, তোলামূল কংগ্রেসের ঝাড়ের সব বাঁশ-ই সমান !!! দুর্নীতি এবং এদের নেতা নেত্রীরা সমার্থক। কলকাতা পুরসভার আরও এক "স্কোয়ার ফুট কাউন্সিলর" কে চিনে রাখুন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ছন্দাদেবী একটি ঘরে চা খেতে খেতে কয়েকজনের সঙ্গে কথা হচ্ছে। যুবকরা তাঁর কাছে জানতে চাইছেন, কত দিতে হবে? জবাবে ছন্দা দেবীকে অন্য এক কাউন্সিলরের নাম করে বলতে শোনা যাচ্ছে, ও তো স্কোয়্যার ফুট ১৫০ টাকা করে নেয়। আমাকে অত দিতে হবে না। আমাকে স্কোয়্যার ফুটে আশি টাকা করেই দিও। তবে গোটা জমির মাপের ওপর হিসাব করে দিও। তখন এক যুবক হিসাব করে বলেন ৩ কাঠা জমি হিসাবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা হচ্ছে। জবাবে ছন্দাদেবীকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ওই ১ লাখ টাকাই দিও। এর পর তিনি বলেন, কিছু টাকা দিয়ে যাও। শুনে এক যুবক বলেন, হাত একদম খালি দিদি। পৌষ সংক্রান্তিটা যেতে দিন। তখন তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, তখন তো আমাদের রক্তদান শিবির রয়েছে। আগে পেলে ভালো হত। ঠিক আছে তোমরা কাজ করো।

    এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর সংবাদমাধ্যমের তরফে যোগাযোগ করা হলে তীব্র উত্তেজিত হয়ে যান ছন্দা সরকার। টেলিফোনে চিৎকার করে তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি শুভেন্দু অধিকারীকে কোনও দিন চোখে দেখিনি। উনি তো তৃণমূলে থাকার সময় অনেক কামিয়েছেন। উনি আমার সামনে দাঁড়িয়ে এই কথাগুলো বলুক। দেখি কতবড় সাহস। জুতিয়ে ওনাকে সোজা করে দেব। আমাদের দলে কতগুলো বিজেপির দালাল রয়েছে, তারা এই ভিডিয়োটা ওনাকে দিয়েছে। তাদের নামগুলো বলতে বলুন। তাদের চাবগে কী করে সোজা করতে হয় আমি জানি।’


    একথা শুনে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি ওনার সামনে যেতে যাব কেন? ওনার বাড়িতে সিবিআই – ইডি যাবে। কালীঘাটের কাকুর মতো কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা হবে। ক্ষমতা থাকলে উনি অস্বীকার করুন, ভিডিয়োতে যাকে দেখা যাচ্ছে সেটা উনি নন। মামলা করুন। ভুল হয়ে থাকলে আমি ক্ষমা চেয়ে নেব।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)