‘দ্রুতই চালু হবে রাত্তিরের সাথী অ্যাপ’, নবান্নে বৈঠকের পর বড় ঘোষণা করলেন মমতা
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাংলার মহিলাদের নিরাপত্তায় চালু করা হয়েছিল ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর এই প্রকল্প চালু করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে কিছু বদল আনা হচ্ছে। সেই বদল আনার পরই দ্রুত চালু হবে ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প। গতকাল, বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এই কথাই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত্তিরের সাথী প্রকল্প নিয়ে বিজ্ঞপ্তি সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই চালু হবে ‘রাত্তিরের সাথী’।
বাংলার নারীদের নিরাপত্তা দিতেই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। বিশেষ করে রাতে যাঁরা কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরেন তাঁদের জন্যই এই ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প। তবে এই প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে মামলার শুনানি চলাকালীন চিকিৎসকদের যৌথমঞ্চের আইনজীবী করুণা নন্দী সওয়াল করেন, ‘মহিলা চিকিৎসকদের ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি না দেওয়া, নাইট শিফট না দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।’ এই আর্জি জানিয়ে ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। আর বিতর্ক তা নিয়েই। এই প্রকল্পে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। যা সংশোধন করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। যেটা মেনে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
দেশের প্রধান বিচারপতি ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের কথা শুনে তাতে সংশোধন করার নির্দেশ দেন। বিষয়টি যাতে ত্রুটিমুক্ত থাকে তার জন্য রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কেমন করে বলেন রাতে মহিলারা কাজ করতে পারবেন না? মহিলা চিকিৎসকদের কেন এভাবে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন? তাঁরা এই বিশেষ ছাড় চান না। মহিলারা সমস্ত শিফটে কাজ করতে এখন প্রস্তুত। কপিল সিব্বল আপনি বিষয়টিতে দেখুন। আপনাদের উপযুক্ত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতেই হবে।’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নির্দেশ মেনে এবার সংশোধন করা হচ্ছে, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পে।
তবে সংশোধন করার পর ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প অ্যাপ চালু হলে বাংলার মহিলারা বেশ নিরাপদ বোধ করবেন রাতে। যখন তাঁরা কর্মক্ষেত্র থেকে বা কোনও অনুষ্ঠান থেকে ফিরবেন। তাই সংশোধন করে দ্রুত তা মানুষের দুয়ারে নিয়ে আসতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বক্তব্য, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তিতে সংশোধন করতে হবে। এবার সেটা বাস্তবায়িত করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকারও। বৃহস্পতিবার মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমজনতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুতই চালু হবে রাত্তিরের সাথী অ্যাপ। তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনাও হয়েছে সব অফিসারদের সঙ্গে। সংশোধন করার পরে দ্রুতই এই অ্যাপ চালু করা হবে।’